Current Bangladesh Time
শনিবার মে ১৮, ২০২৪ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বিনিয়োগের নামে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মা-ছেলে গ্রেফতার 
Tuesday August 23, 2022 , 9:40 pm
Print this E-mail this

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন-র‌্যাব কর্মকর্তা

বিনিয়োগের নামে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মা-ছেলে গ্রেফতার


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে শেরপুর জেলায় প্রায় ৩ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার দুই আসামি হলেন-কামরুজ্জামান সুজন (৪০) ও তার মা কামরুন নাহার হাসেম (৬১)। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টের হাসনাহেনা বিল্ডিংয়ের ৬০৩ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাবর অ্যান্ড কোং (প্রা.) লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান আসামি কামরুজ্জামান সুজনের নামে আদালত থেকে ৩২টি গ্রেফতারি ও ৩টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ৩৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং আসামি কামরুন নাহার হাসেমকে গ্রেফতারের জন্য আদালত থেকে মোট ৩টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। শেরপুরে বাবর অ্যান্ড কোং (প্রা.) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কামরুজ্জামান সুজনের বাবা মৃত আবুল হাসেম। আবুল হাসেম জীবিত থাকাবস্থায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে ব্যবসার জন্য প্রলুব্ধ করে তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেন। মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একপর্যায়ে আবুল হাসেমের মৃত্যুর পর তার ছেলে কামরুজ্জামান সুজনও মানুষের সঙ্গে একই প্রতারণা করে ভুল বুঝিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে টাকা নেন। এক পর্যায়ে কামরুজ্জামান সুজন ব্যবসার জন্য অগ্রিম ইট বিক্রির ৪৫ কোটি টাকা ও চাল বিক্রির ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে আসেন। সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ আরও বলেন, এই বিষয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রায় ৩৬ একর জমির ওপর ২টি অটো ব্রিকফিল্ড, ৩টি ফিলিং স্টেশন, ১টি অটো রাইস মিল, পোলট্রি ফার্মসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে কামরুজ্জামান সুজনের মালিকানাধীন বাবর অ্যান্ড কোম্পানির এবং জেলা হাসপাতাল সড়কের নারায়ণপুরে একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে তাদের। এসব সম্পদ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে নেওয়া হতো। তিনি বলেন, কামরুজ্জামান সুজন ঢাকায় পালিয়ে আসার পর ভুক্তভোগীরা তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন এবং আদালতে একাধিক মামলা করেন। সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে থেকে ৩২টি গ্রেফতারি ও ৩টি সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয় এবং আসামির মা মিসেস কামরুন নাহার হাসেমের নামে ৩টি মামলায় মোট ৩টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।




Archives
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
Image
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা
Image
বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৌয়াল কুদ্দুস
Image
বরগুনার বেতাগীতে স্পর্শ করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা!
Image
নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর : ডোনাল্ড লু