Current Bangladesh Time
রবিবার মে ১৯, ২০২৪ ৩:০২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » রাজমিস্ত্রির হাতে খুন হয়েছেন নিঃসঙ্গ ঢাবি শিক্ষক! 
Friday January 14, 2022 , 9:40 pm
Print this E-mail this

এখনো মামলা হয়নি, আসামিকে নিয়ে আসার পর মামলা রুজু

রাজমিস্ত্রির হাতে খুন হয়েছেন নিঃসঙ্গ ঢাবি শিক্ষক!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরের কাশেমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষকদের হাউজিং প্রকল্পের ভেতর নিজের বাড়ির কাজ দেখতে পাশেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেক। বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে গিয়ে ‘রাজমিস্ত্রির হাতে’ প্রাণ গেছে তাঁর। প্রতিদিন সকালে অধ্যাপক সাইদা খালেক তাঁর একটি বিদেশি কুকুর সঙ্গে নিয়ে হাউজিংয়ে ভেতরে গিয়ে নিজের বাড়ির কাজ দেখাশোনা করতেন এবং নির্মাণ শ্রমিকদের টাকা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে আবার ভাড়া বাসায় আসতেন। এভাবেই অধ্যাপক সাইদা খালেকের প্রতিদিনের রুটিন কাজ চলছিল বলে জানিয়েছেন হাউজিংটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশেমপুর থানার পানিশাইল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাউজিং প্রকল্পে গিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন বলেন, বাড়ির কাজ দেখার জন্য পাশেই ‘ভাই ভাই ভিলা’ নামের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। অধ্যাপক সাইদা খালেক একটি বিদেশি কুকুর নিয়ে প্রতিদিন সকালে এসে বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতেন। তাঁর সঙ্গে এখানে কেউ থাকতেন না। প্রায় সময় তাঁর নাতি আসত, এছাড়া আর কেউ না। তিনি আরও বলেন, আমাদের এই হাউজিংয়ে প্রায় পাঁচটি বাড়ি আছে। আমরা ৯ জন সিকিউরিটি এই হাউজিংয়ের দেখাশোনা করি। একেক সিফটে তিনজন করে ডিউটি করি। সেদিনের কিছু আমি বলতে পারব না। তবে আজ সকালে পুলিশ আসে অধ্যাপক সাইদা খালেকের বাড়ি দেখতে। পরে হাউজিংয়ের ভেতরে একটি রাস্তার পাশে তাঁর মরদেহ দেখতে পায়। তাঁর গলায় একটা ওড়না পেঁচানো ছিল। পরে পুলিশ তাঁর মরদেহ নিয়ে যায়। হাউজিংটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নির্জন স্থানে তাঁকে মেরে ফেলে রাখা হয়। সেই স্থানে পুলিশ চিহ্ন করে রেখেছে। তার নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন বাড়িটির সীমানা প্রাচীরের কাজ চলছে। এ বিষয়ে ‘ভাই ভাই ভিলা’ বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন মৃধা বলেন, অধ্যাপক সাইদা খালেকের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। তিন মেয়ের দু’জন অস্ট্রেলিয়ায় এবং একজন ঢাকায় থাকেন। একমাত্র ছেলে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করেন। আট-নয় মাস আগে আমার বাসায় তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁর ছেলের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। আমি আজ শুনি তিনি মারা গেছেন। তাঁর সব কিছু এখানেই আছে। কাশিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রয় শুক্রবার গাইবান্ধা থেকে ওই বাড়ির নির্মাণশ্রমিক (রাজমিস্ত্রি) আনোয়ারুল ইসলামকে আটক করেছে। দীপঙ্কর রয় বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) কাশেমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। জিডি সূত্র ধরে আনোয়ারুলকে গাইবান্ধা গিয়ে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাসে তিনি মরদেহের তথ্য দেন। সেই তথ্যে আমাদের অন্য দল সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আটক আনোয়ারুলকে নিয়ে তিনি ঢাকায় আসছেন। টাকার জন্য অধ্যাপক সাইদা খালেককে হত্যা করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। কাশেমপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মাহবুব এ খোদা বলেন, এ ঘটনায় আনোয়ারুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আনা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো মামলা হয়নি। আসামিকে নিয়ে আসার পর মামলা রুজু করা হবে।




Archives
Image
বরিশাল শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে : সচিব
Image
বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
Image
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা
Image
বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৌয়াল কুদ্দুস