প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ রোগীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন!
Sunday March 29, 2020 , 9:55 pm
মৃত দু’জনের মধ্যে নীরু বেগম হৃদরোগে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন পরিচালক
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ রোগীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন!
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে দুই জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে নীরু বেগম (৪৫) নামক এক রোগী শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে এবং অপর এক পুরুষ রোগী রোববার সকাল সোয়া ৭টায় মৃতবরন করেন। শেবাচিম হাসপাতালে সনাক্তের কীট না থাকায় মৃত দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালে পরিচালক ডা: বাকির হোসেন জানান, শেবাচিম হাসপাতালে করোনাভাইরাস সনাক্তের কীট নেই। রোগের লক্ষন দেখে অনুমানভিত্তিতে করোনা ইউনিটে রোগী পাঠানো হয়। মৃত দু’জনের মধ্যে নীরু বেগম হৃদরোগে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন পরিচালক। পটুয়াখালীর মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে মৃতের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপকরন সংগ্রহ করা হয়েছে। দুটি লাশই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত নীরু বেগম বরিশাল কাউনিয়া পুরানপাড়া এলাকার মো: দুলালের স্ত্রী। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে করোনা ইউনিটে নেয়ার পর সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, এ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩দিন আগে বরিশাল নগরীর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যান। এরপর বাড়িতে বসে তিনি গলাব্যাথা ও শ্বাসকস্টে আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন জানান, রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে নীরু বেগমকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হলে তার রোগের লক্ষনগুলো দেখে তাৎক্ষনিক করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়েছিল। ওই ইউনিটে পৌছার পর সেখানকার চিকিৎসক নীরু বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের বরাত দিয়ে পরিচালক বলেন, এ রোগীর ডায়বেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ ছিল। তার কোনো স্বজন বিদেশ থেকে আসেননি কিংবা তিনিও বরিশালের বাইরে কোথাও যাননি। অপরদিকে পটুয়াখালী সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষ রোগীকে শনিবার বিকালে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। হাসপাতালের পরিচালক ডা: বাকির হোসেন জানান, এ পুরুষ রোগী প্রথমে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে রেফার করা হলে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টা ৫০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে আনার পর প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাকে করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। রোববার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রোগীর মৃত্যু ঘটে। স্বজনদের বরাত দিয়ে পরিচালক জানান, এ রোগী দীর্ঘদিন যাবত অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্টরোগে ভুগছিলেন।