Current Bangladesh Time
শনিবার মে ৪, ২০২৪ ২:০০ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের এক আবেগঘন ভিডিও বার্তা 
Friday January 10, 2020 , 12:37 pm
Print this E-mail this

মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের এক আবেগঘন ভিডিও বার্তা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি এবার মুজিববর্ষ উদযাপনের অন্যন্য মাত্রা নিয়ে জাতির সামনে হাজির হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্টডাউন সারাদেশে একযোগে শুরু হবে। আর মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে এক আবেগঘন ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। হাইকমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও বার্তাটি একযোগে প্রচার করা হয়। বার্তায় বৃটিশ দূত ১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে বৃটেন সফরের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোকে স্মরণ করেন। ডিকসন বলেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার হিসেবে আমি যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা স্মরণ করে মুজিববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হন, তখন তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পথে যুক্তরাজ্য সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তার প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হোক বৃটেন। ১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু লন্ডনে পৌঁছান। তাকে স্বাগত জানাতে তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ-তার ছুটি (অবকাশ) সংক্ষিপ্ত করে লন্ডনে ফিরেছিলেন এবং ওই রাতেই তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিলো। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ এই সাক্ষাৎ-বৈঠকের কথা স্মরণ করে বৃটিশ পার্লামেন্টে বলেন, ‘যখন শেখ মুজিব আমার সঙ্গে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করতে আসেন তখন আমি তাকে ভারতীয় উপমহাদেশীয় তিনটি দেশের পরস্পরের সঙ্গে বৃটেনের ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার নীতির বিষয়ে অবগত করি। একই সঙ্গে তাকে জানিয়েছি-বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশকে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করব। উল্লেখ্য, দুদিন পর ১০ই জানুয়ারি বৃটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সের একটি কমেট জেট বঙ্গবন্ধুকে ঢাকায় নিতে আসে। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় ছিলো। হাই কমিশনার বলেন, আমি আনন্দিত যে, ১০ই জানুয়ারি মুজিব বর্ষ উদ্বোধন করতে এই ঐতিহাসিক ঘটনা পুনরায় প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আমি এই পুনঃপ্রণয়ন দেখার প্রত্যাশা করছি। লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর এই সফরকে বৃটেনের সঙ্গে বাংলাদেশ পার্টনারশীপ এবং দু’দেশের মানুষের বন্ধুত্বের ভিত্তি আখ্যায়িত করে হাই কমিশনার ডিকসন বলেন, সেই সময় থেকে বৃটেন স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী এবং এ দেশের মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধির শুভাকাঙ্খী।বাংলাদেশকে স্বীকৃৃতি প্রদান করা প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম বৃটেন। ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বৃটেন স্বাধীন বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়। বৃটিশ দূত সেই ক্ষণকে স্মরণ করে বলেন, বৃটেনের ওই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে অন্যান্য কমনওয়েলথ ও পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করেছিলো। ইউকে-বাংলাদেশ পার্টনারশীপের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দীর্ঘ সময়ে দু’দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও মজবুত হয়েছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতিতে রয়েছে। আগামী বছরব্যাপী পালিত হবে স্বাধীনতার সেই কাঙ্খিত সূবর্ণজয়ন্তি। সেই আয়োজনকে আগাম স্বাগত জানিয়ে বৃটিশ হাই কমিশনার প্রত্যাশা করেন- আগামীতে দু’দেশের, দুই দেশের মানুষের ক্রমবর্ধমান ওই সম্পর্ক ধারা অব্যাহত থাকবে। এটি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি ভিডিও বার্তার সমাপ্তি টানেন।




Archives
Image
পদত্যাগ করে দুধ দিয়ে গোসল বিএনপি নেতার
Image
তাসকিন-মেহেদীদের তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে
Image
কুয়াকাটায় পানি ও স্যালাইন হাতে পর্যটক-তৃষ্ণার্তদের পাশে ছাত্রলীগ
Image
বরিশালে কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৫
Image
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার