|
ঝোপের মধ্যে ধর্ষণের শিকার ঢাবি’র ছাত্রীর বই, ঘড়ি আর ইনহেলার!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে একটি ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকা ওই ছাত্রীর বই, ইনহেলার, ব্যবহৃত ঘড়ি, চাবির রিংসহ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, সেখানে পুরুষের ব্যবহৃত এক জোড়া স্যান্ডেল, একটি কালো গ্যাবার্ডিন প্যান্টসহ আরো কিছু সামগ্রী পাওয়া গেছে। এছাড়া ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি থাকা ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ান বিন কাশেম বলেন, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে র্যাব। তদন্তের স্বার্থে আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাবে না। অন্যদিকে, সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ধর্ষণে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। এছাড়া ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন সক্রিয় প্রায় সব ছাত্র সংগঠনই বিক্ষোভ করেছে। ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এছাড়া, ঢাবি কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় পৃথক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক বলেন, মামলার এজাহারে মেয়েটিকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পাশে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আছে জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, মেয়েটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছে। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা প্রয়োজন তাই করবে। তাকে মনে রাখতে হবে সে আমাদের মেয়ে, আশা রাখি তার মনোবল শক্ত থাকবে। প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
Post Views:
১১৬
|
|