Current Bangladesh Time
বুধবার অক্টোবর ৮, ২০২৫ ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » জাদুকর নয়, নিজেকে একজন জাদুশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে সবচেয়ে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি-যুবরাজ 
Friday September 20, 2019 , 7:26 pm
Print this E-mail this

জাদুকর নয়, নিজেকে একজন জাদুশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে সবচেয়ে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি-যুবরাজ


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মিনহাজুর রহমান (যুবরাজ)। জাদুশিল্পী যুবরাজ নামেই বেশ পরিচিত। ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় জন্ম। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর স্নাতক কোর্স সম্পূর্ণ করেছেন। জানালেন, বাবার কাছ থেকেই তার জাদুর হাতেখড়ি। শিখে গিয়ে স্কুলের বন্ধুদের জাদু দেখাতেন। যখন স্কুলে অন্য সবাইকে জাদু দেখাতে শুরু করেন তখন ক্লাসের সবাই তার দিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে তাকাত। মূলত এসব দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নিজেকে জাদুশিল্পী হিসেবে তৈরি করেছেন তিনি। তবে বড় হয়ে এ শিল্পের প্রতি মোহ অনুভব করেন। তিনি বলেন, জীবনে চর্চার বিকল্প কিছু আমি পাইনি। শুধু জাদু নয়; আমি তরুণদের বলব, যদি তোমাদের অন্য কোনো ক্ষেত্রেও প্রতিভা থাকে। তবে হাতেখড়িটা বাবার কাছ থেকে হলেও এক সময় তিনিই আবার এর বিরোধিতা শুরু করেন বলছিলেন যুবরাজ। কারণ ততদিনে পড়াশুনাটাকে কিছুটা শিকেই তুলেছিলাম। সালটা ছিল ২০০৭। খুলনায় জাদু প্রদর্শন করতে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় ও নন্দিত জাদুশিল্পী শাহীন শাহ্। তখন আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে তার শরণাপন্ন হই। পরে ওনার কাছ থেকেই আমার জাদু বিদ্যার প্রথম ও মূল তালিম (শিক্ষা) নেয়া বলেন যুবরাজ। আমাকে বেশ আদর করতেন তিনি। তাই তার সব শোতে আমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন এবং জাদুর যত কৌশল রয়েছে তা তিনি শেখাতেন। আর এভাবেই জেনে নিলাম নাচ-গান-অভিনয় কিংবা কৌতুকের সংমিশ্রণে কিভাবে এই শিল্পটাকে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে হয়।

রাগ করে একদিন তার বাবা সব জাদুর সরঞ্জাম ভেঙে ফেলেন। ফলে কিছুটা অভিমান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে মাত্র ৭০০ টাকা নিয়ে অচেনা শহর ঢাকায় পাড়ি জমান। পরে উত্তরায় একটা মেলায় জাদুর স্টলে মাসে ২ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরিও পেয়ে যান তিনি। পাশাপাশি অন্য জাদুরস্টলে তিনশ টাকা হাজিরার চাকরিও করেছেন কিছুদিন। উদ্দেশ্য ছিল একটাই জাদু শিখা। ছাত্রজীবনের রেখে আসা অতীত নিয়ে কোনো আফসোস আছে কি না জানতে চাইলে কিছুটা প্রাপ্তিরকণ্ঠে তিনি বলেন, খুব বেশি একটা হয় না, কারণ আমি যে পেশাটাকে ভালোবেসে এই যুদ্ধটা শুরু করেছিলাম সেটাতে কিন্তু আজ আমি সফল। একসময় আমাদের দেশের মানুষ নানা কুসংস্কারে জর্জরিত ছিল। যার কারণে জাদুকে খারাপ চোখে দেখতো সবাই। আর এই কুসংস্কার দূর করতে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি হলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ (স্যার)। স্যারের চেষ্টায় আজ জাদুশিল্প একটা সম্ভাবনীয় পেশায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে সামাজিক সম্মান, অর্থ উপার্জনও করা সম্ভব বলেন তিনি। এ ছাড়া বর্তমানে জাদুর প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। ফলে আমাদের দেশের বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রেও জাদুশিল্পকে ব্যবহার করছে। তাই জাদুকে এখন সম্মানজনক একটা পেশা হিসেবেও নেয়া যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে আড়ং ডেইরির ‘ইউএসডি ফ্লেবার মিল্ক স্কুল আর্ট প্রতিযোগিতা নিয়ে দেশের ৬টি বিভাগে শো শেষ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ডিপ্লোমোর সৌজন্যে ‘মিষ্টি লড়াই সিজন-৬’ নিয়ে সারা দেশব্যাপী ছিল তার আকর্ষণীয় সব জাদুর প্রদর্শনী। জাদুকর নয়, নিজেকে একজন জাদুশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে সবচেয়ে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, বললেন যুবরাজ।

বরিশাল মুক্তখবর পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুভ কামনা আর অভিনন্দন এই জাদুশিল্পীকে।




Archives
Image
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, আহত ৫
Image
বরিশালে পুলিশের সামনেই খুন হয় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা লিটু
Image
মেধাবী খুদে ক্রিকেটার রিয়ানের পাশে বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
এনএসসি মনোনীত নতুন বিসিবি পরিচালক হচ্ছেন রুবাবা দৌলা
Image
পদার্থে নোবেল পেলেন মার্কিন তিন বিজ্ঞানী