Current Bangladesh Time
শনিবার ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫ ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » সৈনিক মো. মনোয়ার হোসেন নিহত হওয়ার খবরে বৃদ্ধ মা বাকরুদ্ধ 
Thursday September 28, 2017 , 2:02 pm
Print this E-mail this

গ্রামের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতন

সৈনিক মো. মনোয়ার হোসেন নিহত হওয়ার খবরে বৃদ্ধ মা বাকরুদ্ধ


শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : মালিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সৈনিক মো. মনোয়ার হোসেন নিহত হওয়ার খবরে বৃদ্ধ মা এখন অকেটা বাকরুদ্ধ,গ্রামের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতন।স্ত্রী ও স্বজনদের আহাজারিতে গ্রামের বাড়ি বরিশাল শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপাশা এলাকার প্রতিবেশিরাও কাতর।স্বজনদের কোন সান্ত্বনা দিয়ে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে না।বরং কান্নার রোল দেখে আশেপাশের মানুষও কাঁদছেন।সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই সেনা সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।যদিও এই সেনা সদস্যর ৭ বছরের মেয়ে ইলমুন ও দেড় বছরের তাসনিম বাবা হারানোর বেদনা এখনও উপলব্ধি করতে পারছে না।কিন্তু স্বজনদের আর্তনাদ দেখে তাদের চোখ থেকেও পানি ঝরছে।জানা গেছে, এই সেনা সদস্য বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে পড়াশুনা করে ২০০৩ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।তার যোগদানের কদিন আগেই পিতা পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম এবং বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মারা যান।তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন গ্রামে হলেও বর্তমানে শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপাশা এলাকায় বসবাস ছিল।ওই এলাকায় জমি কিনে একটি টিনের ঘর তুলে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতেন।ছোট ভাই রবিউলের পুলিশে চাকরি হওয়ার সুবাদে তিনি খুলনায় ট্রেনিং এ রয়েছেন।আর সবার বড় বোন জোহরা বিয়ের পর চলে গেছেন স্বামীর সংসার করছেন।ফলে বাবা ও বড় ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে পরিবারের দায়িত্ব তার কাঁধেই চলে আসে।এই বাস্তবতায় গত রোববার সৈনিক ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন (৩২) নিহতের খবরে মা রওশন আরা বেগম আর স্ত্রী ইভা আক্তার শোকে পাথর।যদিও ওই ঘটনায় আরও বাংলাদেশী আরও ২ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর রয়েছে।নিহত সেনা সদস্যের স্বজনেরা জানান, বিগত ১০ বছর আগে চন্দ্রমোহন এলাকার কবির হাওলাদারের মেয়ে ইভা আক্তারকে বিয়ে করেন মনোয়ার হোসেন।চাকরি নেয়ার পর ১০ বছর আগে নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চহুতপুর এলাকায় জমি কিনে টিনের ঘর তৈরি করেন।পরবর্তীতে সেখানে সেখানে পরিবার-পরিজনদের রেখে তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্টে সৈনিকের চাকরি করছিলেন।বাবার মৃত্যুর পরে বৃদ্ধা মাকেও নিজের বাসায় এনে রেখেছিলেন।এরই মধ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে যাওয়ার সুযোগ পেলে গত ৩০ মে (২ রমজান) মিশনে যান মনোয়ার।মিশনের যাওয়ার পর প্রায়ই ফোনে স্ত্রী,সন্তান,মাসহ নিকট আত্মীয়দের খোঁজখবর রাখতেন।স্ত্রী ইভা আক্তার যোগ করেন,সর্বশেষ শনিবার মনোয়ারের সাথে ফোনে আলাপ হয়েছে।সে সময় তার বড় মেয়ে ইলমুন আঙ্গুর, আপেল আর আম নিয়ে আসার বায়না ধরেছিলো।কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে এমন একটি খবর আসবে তা কখনো কল্পনাও আসেনি।তিনি আরও জানান, মনোয়ারের দেশের বাইরে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল অস্বচ্ছল পরিবারকে স্বচ্ছলতা ফেরানোর পাশাপাশি দুটি ছেলে সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা।কিন্তু তা আর হলো না।৭ বছরের শিশু ইলমুন স্থানীয় এক মাদ্রাসায় পড়ে।দেড় বছরের শিশুটি অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসা চলছে।রোববার রাতের লঞ্চে শিশু সন্তানকে নিয়ে সেনা হাসপাতালে যাওয়ার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিলা।কিন্তু বিকেলে সেনা সদর দপ্তরের এক মোবাইল এসএমএস সব কিছু এলামেলো করে দিল।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অত্যান্ত ভদ্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন মনোয়ার হোসেন।তার এই আকস্মিক মৃত্যু গোটা এলাকাবাসীকে আহত করেছে।এমন পরিস্থিতিতে মনোয়ার হোসেনের লাশ দ্রুত দেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা চেয়েছে নিহতের পরিবার।




Archives
Image
দুই লঞ্চের সংঘর্ষ : নিহত চারজনের লাশ শনাক্ত, আটক ৪
Image
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা
Image
বরিশালে ফুটপাতে পিঠা বিক্রেতাকে আয়কর রিটার্নের নোটিশ!
Image
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, বিপর্যস্ত জনজীবন
Image
বড়দিনের ছুটিতে বরিশালে দিন-দুপুরে ‘কলমের কন্ঠ’ পত্রিকা অফিস চুরি