প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে বহাল তবিয়তেই আছেন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন আর শরিফুল!
Friday May 24, 2019 , 8:55 pm
বরিশালে বহাল তবিয়তেই আছেন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন আর শরিফুল!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বিতর্কিত কর্মকান্ড করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের এএসআই মামুন ও বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম। তাদের কর্মকান্ডের বিষয়ে পুরো মেট্রোপলিটন পুলিশ অবগত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ইতিমধ্যে তাদের কর্মকান্ড নিয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হলেও তা এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। অপরদিকে বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলামের চাঁদাবাজীর অভিযোগ সম্পর্কে একই অবস্থা। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নগরীর বিএম কলেজ এলাকা থেকে ১০পিস ইয়াবাসহ দুই যুবককে আটকের পর তাদের সাথে থাকা ইয়াবা বহনকরা একটি মোটরসাইকেল এ এস আই মামুন অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া নিয়ে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আটক দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হলেও মোটরসাইকেলটি আটক না করে সেটা অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের বিরুদ্ধে, যে বিষয়টি খোদ কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম স্বীকার করেন এবং তিনি পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও প্রদান করেন বলে জানান। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই এ এস আই মামুনের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মেট্রোপলিটন পুলিশ। যে কারণে বহাল তবিয়তেই রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তা। অপরদিকে বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাসোহারা ও চাঁদাবাজীর ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া যায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু তারপরও এই কর্মকর্তা তার কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। এত বিতর্কিত কর্মকান্ডের পরেও কিভাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা এই ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকেন সেই প্রশ্ন ওই ফাঁড়ি এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের। এই বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাহাবুদ্দিন খান বলেন, দুই পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি অপরাধ প্রমানিত হয় তবে আমাদের বিধি বিধান অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।