|
কুয়াকাটায় বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে ইলিশ পার্ক এ্যান্ড রিসোর্ট
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে ইলিশ পার্ক এ্যান্ড রিসোর্ট। ইলিশের নামানুসারে মহা-সড়ক লাগোয়া এলজিইডির বাংলোর বিপরীতে ৩৩ শতক জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে ইলিশ পার্কটি। পার্কটির ভিতরে বাঁশ ও ছনের ঘর ছাড়াও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে নানা প্রজাতির বন্য জীবজন্তুর ভাস্কর্য্য। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলিশ ভাস্কর্য্যরে পেটের মধ্যের রেস্তোরায় বসে ইলিশ খেতে পারবে দর্শনার্থী ও পর্যটকরা। ইতিমধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বাঘ, সিংহ, হরিন, কুমির, বক, কচ্ছপ, জিরাফ সহ নানা প্রজাতির জীবজন্তুর ভাস্কর্য্য। পার্কে ঢুকলেই টম এন্ড জেরী (বিদেশী কুকুর) সমগ্র পার্ক ঘুরিয়ে নিয়ে যাবে ইলিশের রেস্তোরায়। মূল ফটকে পাশেই রাখা হয়েছে কুয়াকাটার নানা পেশাজীবিদের কৃষ্টি কালচার, আদীবাসী রাখাইনদের বৈচিত্রময় জীবন জীবিকার ফটো গ্যালারি। সমগ্র পার্কের চারদিকের রয়েছে নানা প্রজাতির সামদ্রিক মাছের প্রতিকৃতি। সাজানো হয়েছে ফুল ও ফলের গাছ দিয়ে। পাঁচটি গোল ঘর, ইলিশ ক্যাফে, লেক, ফিস মিউজিয়াম, ফটোগ্যালারী, সাম্পান মঞ্চ, জুস কর্নারসহ লাইভ এ্যনিমল ও বিভিন্ন প্রানীর ভাষ্কর্য্য। তৈরী হয়েছে উডেন কটেজ, শিশুদের বিনোদন পার্ক। ইলিশ পার্ক এ্যান্ড রিসোর্টটি পিকনিক, কনফারেন্স, কনসার্ট, বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠানে পার্কটি ভাড়া নেয়ারও সুযোগ রয়েছে।
কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সরাসরি যাবার জন্য “সাকুরা” বাস সার্ভিস রয়েছে। প্রতি রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া প্রতি রাতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বি.আর.টি.সি.’র ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। বাসে করে কুয়াকাটা পৌঁছাতে ১২ ঘন্টার মতো সময় লেগে যাবে। এছাড়া লঞ্চ দিয়েও যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত সরাসরি লঞ্চ রয়েছে, ভাড়া পড়বে ১৮০ টাকা।
Post Views: ০
|
|