|
সামরিক আদালতে নিহত পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি
সামরিক আদালতে সৈনিক-মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় জিয়া সরাসরি জড়িত : প্রধানমন্ত্রী
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সামরিক আদালত সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওই সময়ে (১৯৭৫ সালের পর) ১ টা ক্যু হয়েছিল। প্রতিটি ক্যুতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল। তার নির্দেশে প্রহসনের বিচারের জন্য সামরিক আদালত বসানো হয়েছিল। কত মানুষ মারা গিয়েছিলেন তার প্রকৃত সংখ্যা বের করা যায়নি। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় গণভবনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ও ফ্রান্স সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালতের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল। তখন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয় ১১ জন অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমান সেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার জন। নিখোঁজ হন অসংখ্য। সামরিক আদালতে নিহত পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় আমার ফুফাতো ভাই ফিরোজ কবির চৌধুরী, যিনি ক্যামেরাম্যান ছিলেন, তাকেও হত্যা করা হয়। ওই সময় তাদের হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। জেলখানায় যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের হয়ত খোঁজ পাবো। কিন্তু কত জনকে যে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছে, জানি না। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিবো। স্বজনদের হারিয়ে অসহায়দের অবস্থা আমি জানি। আমিও তো আপনজন হারিয়েছি। এসময় শেখ হাসিনা জানান, ওই সময়ে নিহত অনেকের পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলের এতো বছর পর সেই সামরিক আদালত নিয়ে সরব হয়েছেন নাগরিক ব্যক্তিত্বরা। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারটা তো এতো দিন কেউ তুলে ধরেনি। তবুও ধন্যবাদ, এতো দিন পরে কথা হচ্ছে।
Post Views:
১১৬
|
|