প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বরিশাল শেবাচিম’র আবাসিক এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা
Thursday January 30, 2020 , 7:55 pm
সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বরিশাল শেবাচিম’র আবাসিক এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামের মধ্যেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বহিরাগত দখলদাররা। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই তারা হোটেলগুলো ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না বেশ কয়েকজন অবৈধ দখলদার। বিশেষ করে ভ্যান গাড়িতে ফল, চা-পান এবং ডাবের দোকান বসিয়ে রাস্তা দখল করে রেখেছে তারা। বহাল রয়েছে আবুল এবং মোসলেমের হোটেলও। জানাগেছে, বছরের পর বছর ধরে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টারে প্রবেশের প্রধান সড়কের দুই পাশে গণপূর্ত বিভাগের জমি দখল করে আছে বহিরাগতরা। সেখানে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে বহিরাগতরা তা ভাড়া দিয়েছে অন্যের কাছে। ভাড়া গ্রহনকারীরা খাবার হোটেল, চায়-পানের দোকান, মুদি এবং সেলুন বসিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ওইসব অবৈধ স্থাপনায় কাক ডাকা ভোর থেকে গভির রাত পর্যন্ত বহিরাগতদের আনা গোনায় থাকে। এ কারনে এটি একটি আবাসিক এলাকা হলেও দেখে মনে হয় যেন কোন স্থায়ী বাজার। এর ফলে বসবাসরত কর্মচারী এবং তাদের ছেলে মেয়েরা চলাচল করতে গিয়ে মারাক্তকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। কর্মচারীরা বলেন, কলোনীতে ঢুকতেই প্রবেশ গেট আটকে ভ্যান গাড়িতে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা দাড়িয়ে থাকছে। ভিতরে প্রবেশ করতেই রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য ভ্রাম্যমান হকার বসে চা-পান, ফল এবং ডাবের ব্যবসা করছে। এ কারনে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ালে এ্যাম্বুলেন্স তো দুরের কথা রিক্সা ঢোকাও দুস্কর হয়ে পড়ে। এ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর পরই টনক নড়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের মাইকিং করে নির্দেশনা প্রদান করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মাইকিং করা হলে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম। বহিরাগত কাজল, সুমনসহ কয়েকজন তাদের অবৈধ স্থাপনা স্বেচ্ছায় ভেঙে সরিয়ে নেয়। তবে পরবর্তীতে পুনরায় দখলের জন্য স্থাপনার অংশগুলো সরিয়ে আবাসিক এলাকার মধ্যেই রাখা হয়েছে। এদিকে বহিরাগত কিছু লোক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও বেশিরভাগ লোক এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। বিশেষ করে যারা ভ্যান বা ঢেলা গাড়িতে রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়ে তাদের দখল বানিজ্য এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। এরা রাস্তার দুই পাশ দখল করে ফল এবং ডাব বোঝাই ভ্যান গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে থেকে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় থাকা ট্রাফিক সদস্যরাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই অবৈধ এই দখলদারদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।