লকডাউনে যা বন্ধ, যা খোলা থাকবে
‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে ৬১ লাখ আনসার প্রস্তুত
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনের সঙ্গে সহায়ক হিসেবে মাঠে কাজ করতে ৬১ লাখ আনসার সদস্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রোববার (২৭ জুন) গাজীপুরের সফিপুরে আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২১’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী-২০২১’ শুরু করেছে। বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম গাজীপুরের সফিপুরে আনসার-ভিডিপি একাডেমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে সারা দেশে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২১’ এর উদ্বোধন করেন। এ সময় বাহিনীর অতিরিক্ত মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, কমান্ড্যান্ট মো: মাহবুব উল ইসলাম, উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) মো: সামছুল আলমসহ সদর দপ্তর ও একাডেমির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্য-সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউনে যা বন্ধ, যা খোলা থাকবে
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে সোমবার (২৮ জুন) সকাল ছয়টা থেকে থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ছয়টা পর্যন্ত তিনদিনের সীমিত লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব রেজাউল ইসলাম। এই তিন দিন সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। তবে এ সময় কেবল প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আনা যাবে। অফিস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করবে। এদিকে, লকডাউনে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ ধাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
শর্তগুলো হলো :
১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।
৫. জনসাধারণকে মাস্ক পড়ার জন্য আরও প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
এর মধ্যে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তের জেলাগুলোতে লকডাউন দেয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২২ জুন থেকে ঢাকার আশেপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ-এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকার সঙ্গে বাস, লঞ্চ ও রেল যোগাযোগ।
Post Views:
১৩৮
|