প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » যশোরে চাকরিচ্যুত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক
Tuesday March 10, 2020 , 11:23 am
দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, দু’জনের সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকা
যশোরে চাকরিচ্যুত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরে চাকরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের হিসাব পাওয়ায় দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন দুর্নীতি দমন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) সহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) এ মামলা করেন। জসিম উদ্দিন চৌগাছা উপজেলার জামতলা এলাকার বাসিন্দা। দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, জসিম উদ্দিন ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। এরপর ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি এএসআই হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হন। পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। ফলে ২০১৮ সালের ১৮ মে তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় তদন্তে নামে দুদক। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, জসিম উদ্দিনের নামে ১০ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। আর তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১০ টাকা। অর্থাৎ দু’জনের সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকা। সূত্রটি জানিয়েছে, জসিম উদ্দিন ওই অবৈধ টাকা দিয়ে চৌগাছায় একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। ভবনের নিচতলায় ইলেক্ট্রনিকস পণ্যের শোরুম রয়েছে। তিনি ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ভাড়া বাবদ ১২ হাজার করে পান। এ থেকে তার বৈধ আয় হয়েছে ৬ লাখ টাকা। কিন্তু দোকান ভাড়ার টাকা ছাড়া তার আর কোনো বৈধ আয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে বৈধ ৬ লাখ টাকা বাদ দিলে জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের পরিমাণ এক কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকা। দুদকের পক্ষ থেকে তাদের দুজনকে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আলাদাভাবে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা নোটিশ গ্রহণ করলেও তাদের সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করেননি। ফলে দুদক সমন্বিত যশোর জেলার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন।