Friday January 17, 2020 , 10:10 am

মুজিববর্ষ উপলক্ষে কাজ চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ধারা অব্যাহত রাখবেন-বরিশালে মৎস্য ও প্রাাণী সম্পদ মন্ত্রালয়ের সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাাণী সম্পদ মন্ত্রালয়ের সচিব রওনক মহিুমদ বলেছেন, যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশের না হত তাহলে আমরা আপনারা এ স্বাধীন দেশ পেতাম কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যেত। আজ জাতীসংঘ আমাদের বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানিয়ে তারাও মুজিববর্ষ পালন করতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমার সময়ে কোন কাজে আমি বিন্দুমাত্র কাজে শিথিলতা দেখতে চাই না। তাহলে আমি কোন বরদাস্ত করব না। আপনারা যে যার দায়ীত্ব পালন করছেন তারা মুজিববর্ষ উপলক্ষে কাজ চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ধারা অব্যাহত রাখবেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আইন বিধি-বিধানের মত কাজ করলে হবে না। আমরা প্রত্যোকটা টাকা হালাল করে নেব। সেই সাথে আপনারা কাজের মাধ্যমে হালাল করে নেবেন। যে ভাল কাজ করবেন সে থাকবেন নতুবা আমার সময়ে তারা চলে যাবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বরিশাল উন্নয়ন অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে বলেছে। আমি আপনাদের সমস্যার কথা শুনেছি আমার পক্ষে আপনাদের অবকাঠামো, যান-বাহন যে সমস্যা রয়েছে সে ব্যাপারে আমি কোন প্রতিশ্রুতি দেব না। এসব সমস্যা পুরণে যতটুকু সম্ভব কাজ করব। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ ধাঁনসিড়ি সভাকক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যতে বরিশাল বিভাগের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. নুরুল আলমের সঞ্চলনায় ও বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর আওতধীন জেলা পর্যায়ের অফিস প্রধানদের সাথে বরিশাল বিভাগীয় কার্যক্রম বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশেষ অতিথি আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আঃ জব্বার সিকদার। মতবিনিময় সভায় উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন-বরিশাল বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ উপ-পরিচালক কানাই লাল স্বর্ণকার, মৎস্য উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান। এসময় মৎস্য উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান সচিব রওনক মহিুমদ অবহিত করে বলেন, দেশে শতভাগ ইলিশ অহরহণের মধ্যে একমাত্র বরিশাল বিভাগ থেকে ৬৬ শতাংশ ইলিশ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন রামনাবাদ এলাকায় ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারনে আমাদের এখানে ইলিশের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। তাই ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে হলে চরমোন্তাজ এলাকার ঘাষির হাট এলাকার ১২ কিলোমিটার নদী খনন করার জন্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেই সাথে ইলিশ সম্পদ রক্ষার অভিযানে তারা মৎস্য বিভাগকে আইনী ক্ষমতা দেয়ার জন্য দাবী জানান। তিনি আরো বলেন, এখানে জলাশয়ের অভাবে দেশীয় মৎস্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কুয়াকাটায় একটি ল্যাব স্থাপনের দাবী জানান। এসময় সচিব প্রাণী সম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধি ও লাভজনক অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বের করে কাজ করার আহবানের পাশাপাশি তার দপ্তরে যোগাযোগ রাখারও আহবান জানান।