Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার মে ২১, ২০২৪ ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে মারা গেলো ৪২ জন 
Saturday June 20, 2020 , 9:04 pm
Print this E-mail this

এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে ও বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ আক্রান্ত এখন ভারতে

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে মারা গেলো ৪২ জন


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন ২,৭৪৩ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন ৬৫,৭৬৯ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৮৮৮ জনের। নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী সাত জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে মারা গেছেন আর বাড়িতে মারা গেছেন ১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩, ১৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭ টি। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩, ৯০৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ। জুন মাস শুরু হওয়ার পর একদিনেও শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি বাংলাদেশে। একটানা চারদিন যাবৎ মৃতের সংখ্যা ৩০ কিংবা তার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় আটই মার্চ। সেদিন তিনজন রোগী শনাক্ত হয়, যাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু ঘটে ১৮ই মার্চ।

ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকে গেছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে ও বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ আক্রান্ত এখন ভারতে। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১০৯ দিন, সেখানে বাংলাদেশে লেগেছে আরও কম। এছাড়া, ইতালি-ব্রাজিলের কয়েকটি শহরে যেভাবে সংক্রমণের বিস্ফোরণ দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশেও কোনও একটি জনপদে তেমন ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আরেকজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে স্বল্প আয়ের মানুষেরা গাদাগাদি করে বসবাস করে। এমন পরিবেশে আক্রান্তের সংখ্যায় বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়- অনেকটা ব্রাজিলের সাও পাওলো বা রিও ডি জেনিরোতে যেমনটা দেখা গেছে।

বাংলাদেশে পিক টাইম আসবে কবে : যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণের পিক টাইম স্থায়ী ছিল প্রায় ৪২ দিন। ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে পিক টাইম স্থায়ী হয়েছিল আরও কম। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দ্রুতগতিতে বেড়েছে, তেমন দ্রুত কমেও গেছে। ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে ধীরে ধীরে নেমে আসা, এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দুই মাসের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের তিন মাস পার হলেও এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দেশে করোনা সংক্রমণ কবে নাগাদ শিখরে পৌঁছাবে সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পিক টাইম কখন আসবে এবং সেটা কতদিন স্থায়ী হবে তা নির্ভর করছে কত টেস্ট করা হচ্ছে, মানুষ কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, সরকার কতটা কড়াকড়ি আরোপ ও তার বাস্তবায়ন করছে-এসবের ওপর। তারা বলছেন, চীন ও ইতালির মতো বাংলাদেশও যদি শুরু থেকেই লকডাউনের কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসত, তাহলে এতদিনে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে আবার নিচে নামা শুরু হয়ে যেত। তবে এখনও যদি কঠোরভাবে জোনভিত্তিক লকডাউন কার্যকর করা হয়, রোগী শনাক্ত করে তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হয়, তাহলে সংক্রমণের বিস্ফোরণ রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন মুশতাক হোসেন। সেক্ষেত্রে, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পিক টাইম দেখা যেতে পারে বলে জানান তিনি। একই মত বেনজির আহমেদেরও। তিনি বলেন, সংক্রমণের ঝুঁকি হিসেবে যদি এক হাজার হটস্পট বা রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয় এবং প্রতিটি রেড জোনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে কড়াকড়ি আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়, তাহলে আগামী ৪২ দিনের মাথায় সংক্রমণের পিক টাইম দেখা যেতে পারে। নাহলে আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।




Archives
Image
বরিশালে অনলাইন জুয়াড়িদের দলনেতা গ্রেপ্তার!
Image
বরিশাল নগরীর নির্মাণাধীন ভবনের চাঁদাবাজি ঠেকাতে মাঠে পুলিশ
Image
বরিশাল শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে : সচিব
Image
বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি