প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল হালিমা খাতুন স্কুলে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ!
Monday February 3, 2020 , 8:42 pm
বরিশাল হালিমা খাতুন স্কুলে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ!
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রে নগরের হালিমা খাতুন স্কুলকেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জগদীশ সরস্বতী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহ আলম। তিনি জানান, এ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর ২০১৯-২০ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পরে তাদের পাঠক্রমের সঙ্গে প্রশ্নের কোনো মিল পাইনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলেও পরীক্ষা শেষে এর কোনো সুরাহা হয়নি।
এছাড়া ওই প্রশ্নের খাতায়ও কোনো উত্তর দিতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, এ অবস্থায় পরীক্ষার মূল্যায়ন হলে যেসব শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ ঘটনার সমাধান না হলে তার স্কুলের ভালো শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় হবে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরী হবে। তবে কেন্দ্র সচিব ও হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফকরুজ্জামান জানিয়েছেন, অর্ধশতাধিক নয়, ১৭ জন পরীক্ষার্থীর এ সমস্যা হতে পারে। কারন বোর্ড থেকে অনিয়মিত অর্থাৎ ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন মাত্র একটি খামে ২০ টিই এই কেন্দ্রে এসেছে। আর এ কেন্দ্রে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৩ জন, বাকী থাকা ১৭ টি প্রশ্ন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ জন্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা দায়ি, তবে বোর্ড চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষনকি জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিক কেন্দ্রে আসেন এবং পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুস বলেন, কেন্দ্রে প্রশ্ন বিতরণের দায়িত্ব থাকা শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা এজন্য দায়ি। আগামীকাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দায়িদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, যেসব পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে। বোর্ডের নিজস্ব একটি ক্ষমতা রয়েছে, ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় প্রাপ্য নাম্বার পেতে কোন অসুবিধা হবে না। এই শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখা হবে। পরীক্ষার্থীদের পরের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।