প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল সদর গার্লস স্কুলে নিলাম নিয়ে দুই গ্রুপ ঠিকাদারের মধ্যে মারামারি
Tuesday September 29, 2020 , 1:10 pm
অংশগ্রহণকারী ঠিকাদাররা সিন্ডিকেট করে নিলামে তোলা মালামালের মূল্য নির্ধারণ করেন
বরিশাল সদর গার্লস স্কুলে নিলাম নিয়ে দুই গ্রুপ ঠিকাদারের মধ্যে মারামারি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নিলাম টেন্ডারে অতিরিক্ত দর বলাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের সামনেই দুই ঠিকাদারকে মারধরসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন অপর পক্ষের ঠিকাদার। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে উপস্থিত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল নগরীর বগুরা রোডস্থ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান অভিযুক্ত ঠিকাদাররা।জানাগেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি পুরাতন অকেজো গাড়ির বর্জ্যাংশ ও পুরাতন ভবনের অব্যবহৃত মালামাল নিলামে দরপত্রের আহ্বান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা হোসেন। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ নিলাম দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস এবং কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের টিম উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারী ঠিকাদাররা সিন্ডিকেট করে নিলামে তোলা মালামালের মূল্য নির্ধারণ করেন। তারা সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত ভেঙে বজলুর রহমান বাঘা নামের একজন ঠিকাদার ৬৮ হাজার টাকা দর বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন নিলাম দরপত্র গুছিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাকারী ঠিকাদার মিলন মুন্সি ও শাহীন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় প্রশাসনের সামনেই মিলন ও শাহিন হামলা করেন বজলুর রহমান বাঘা এবং মনির নামের অপর এক ঠিকাদারের ওপর। এ নিয়ে ঘটনাস্থলে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতয়ালী মডের থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পাশাপাশি হামলাকারীদের পুলিশ আটকের প্রস্তুতি নিলে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান তারা। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, নিলাম চলাকালে ঠিকাদারদের মধ্যে একটি উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নিবৃত্ত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পুরানো এবং অকেজো ওইসব মালামাল বিক্রির জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্য ছিলো ৫৪ হাজার ৩৩৮ টাকা। রশিদ মুন্সি নামের ব্যক্তি ৯০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মালামালগুলো ক্রয়ে করে নিয়েছেন।