|
একই সময়ে ৬৮৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৩১ শতাংশ
বরিশাল শেবাচিমে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছয়জন, করোনা ও উপসর্গে ১৬ জনের মৃত্যু
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ছয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। রবিবার সকালে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচএম সাইফুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন একই হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগমের কন্যা তন্নী আক্তার (২৫), নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর পুত্র সাব্বির হোসেন (২১), স্বরূপকাঠি উপজেলার নেছারাবাদ গ্রামের মোঃ আলী (১৯), মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলি গ্রামের রহিম হাওলাদারের পুত্র আসাদুজ্জামান (২৪), বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের আলী সরদারের পুত্র আব্দুল হাই (৩৭) ও রাজাপুর উপজেলার সন্দীপ মিস্ত্রীর পুত্র সুব্রত মিস্ত্রী। সূত্রমতে, গত ২০ জুলাই সর্বপ্রথম সাদিয়া আফরিন তন্নী জ্বর নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তন্নী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়। তন্নী ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। গত ১৭ জুলাই তন্নী মিরপুর থেকে বরিশালে আসার পর রাতেই সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরবর্তীতে গত ২২ জুলাই দপদপিয়া গ্রামের সাব্বির হোসেন, ২৪ জুলাই নেছারাবাদ গ্রামের মোঃ আলী ও ২৫ জুলাই বালিয়াতলি গ্রামের আসাদুজ্জামান, ২৮ জুলাই আব্দুল হাই ও সুব্রত মিস্ত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এদিকে বরিশাল বিভাগে একদিনে করোনা ও উপসর্গে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৬৮৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। রোববার (১ আগস্ট) সকালে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। অপরদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: সাইফুল ইসলাম বলে, ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও অন্য ১১ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল ৩৫৩ জন। তার মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী ১৪৭ জন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭১ জন পজিটিভ হন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ।’ স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশালে বিভাগীয় পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বিভাগের ছয় জেলায় এক হাজার ৮৩৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি পটুয়াখালী জেলায়। এ জেলায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পটুয়াখালী ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বরিশাল জেলায় শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ জেলায় ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বরগুনা জেলায় ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৬ জনের করো শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ভোলা জেলায় ২২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। ঝালকাঠী জেলায় ২৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। পিরোজপুর জেলায় ১৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
Post Views:
১৯৯
|
|