Current Bangladesh Time
শুক্রবার এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১০:১৮ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল শেবাচিমে ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু ওয়ার্ডে তিল ঠাঁই নেই 
Sunday November 20, 2022 , 7:10 pm
Print this E-mail this

চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের

বরিশাল শেবাচিমে ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু ওয়ার্ডে তিল ঠাঁই নেই


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : শীতের শুরুতেই বরিশালে ঠাণ্ডাজনিত রোগের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত প্রতিদিন হাসপাতালে আসছে বিভিন্ন বয়সী রোগী। ফলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে জ্বর-ঠাণ্ডা লাগলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের ৩৬ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ৭০ শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। নভেম্বরের ১৯ দিনে এ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩৩০ জন নিউমনিয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। গতকাল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেলা ৩টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ১৮৮ জন। আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ১৯ দিনে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১৮০-১৯০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এ হিসেবে চলতি মাসের ১৯ দিনে বহির্বিভাগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশু ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। চলতি নভেম্বরের শুরু থেকেই বরিশাল অঞ্চলে বইছে শীতের আমেজ। এরই মধ্যে হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী। শূন্য থেকে দেড় বছর বয়সের শিশুরাই ঠাণ্ডায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ৩৬ শয্যার অনুকূলে ২২০ রোগী ভর্তি ছিল। রোগীর চাপ বেশি থাকায় বাধ্য হয়ে অনেককেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে বিছানা করে। আবার অনেক রোগীকে করতে হচ্ছে বেড শেয়ার।সাইফুল ইসলাম এক রোগীর অভিভাবক বলেন, আমার ১১ মাসের ছেলেকে নিয়ে ভর্তি হয়েছি। অন্য শিশু রোগীর সঙ্গে ছেলেকে একই শয্যায় রাখা হয়েছে। শয্যা শেয়ার করতে গিয়ে বাচ্চা নিয়ে বসতে ও শুতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শয্যাসংখ্যা কম থাকায় বাধ্য হয়ে এভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। রোগীর স্বজন ছালমা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আল্লায় যেন কাউরে না আনে। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বসার জায়গাও পাচ্ছি না। আমার বাচ্চা নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। চারদিন যাবত এখানে একটি বেডে দু’জন শেয়ার করে আছি। বসতেও পারছি না। শিশু ওয়ার্ডের নার্স জোসনা আক্তার জানান, রোগীর চাপ বাড়ায় কেবল শয্যা সংকট তৈরি হয়নি, চিকিৎসা সেবা দিতেও বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে মেঝেতে রোগী রাখায় ধুলাবালি লেগে শিশুরা আরো বেশি অসুস্থ হচ্ছে। তাই এখন এক বেডে দুই-তিনজন রোগী রাখতে বাধ্য হচ্ছি। কোনো কোনো বেডে চারজন রোগীও রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: মজিবুর রহমান রোগীদের অল্প সমস্যায় হাসপাতালে না এনে বাসায় বসে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঠাণ্ডা লাগলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জ্বর-কাশি হলেই আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অধিকাংশ শিশু রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠে। আমাদের কাছে রোগী এলে আমরা দেখি নিউমোনিয়াজনিত সমস্যা কিনা। নিউমোনিয়া হলেই আমরা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিই। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা: সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন ভবনের করোনা ওয়ার্ডটি এখন খালি পড়ে আছে। সেখানে আমরা মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তর করব। সেখানে কিছু কাজ বাকি ছিল তা সম্পন্ন করতে গণপূর্ত বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছে। জানুয়ারিতে সেখানে মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তর করা হলে শিশু ওয়ার্ডের পরিধি বাড়বে। শয্যা সংকট আর থাকবে না। তখন শয্যা ভাগাভাগি ও মেঝেতে রোগীদের থাকতে হবে না।




Archives
Image
অভিমান ভুলে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন তাহসান-মিথিলা
Image
বোতলজাত সয়াবিনের লিটারে দাম বাড়ল ৪ টাকা
Image
শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না ফেরদৌস-মৌসুমী!
Image
একই পরিবারে নিহত ৬, হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির
Image
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর