|
দীর্ঘ পাঁচ বছর পূর্বে আবুল কালামের সাথে ফারজানা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়
বরিশাল শেবাচিম’র এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নেশা করে স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন করার ঘটনায় বরিশাল শেবাচিম’র এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (নভেম্বর ৮) সকাল সাড়ে নয়টায় সাগরদী মদিনা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কর্মচারী কালাম ওরফে ডিডি কালাম (ট্যাবলেট কালাম) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের একজন পরিছন্নতাকর্মী ও বরিশাল সাগরদী বাজার ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার গফফার হোসেনের ছেলে।এবং নির্যাতিতা স্ত্রী ফারজানা বেগম একই এলাকার বজলুর রহমানের মেয়ে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর পূর্বে আবুল কালামের সাথে ফারজানা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ে করার পর থেকে কালাম মাদকদ্রব্য সেবন করে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বিয়ের আগে কিছুই জানত না ফারজানা ও তার পরিবার। এমনকি কালাম বিয়ের আগে ও একটি বিবাহ করে তা সে গোপন রাখে। কালাম এবং ফারজানার দম্পতিতে তিন বছরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সংসারের সুখের কথা ও সন্তানের কথা চিন্তা করে স্ত্রী ফারজানা বারবার স্বামী কালামকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। স্বামীর নেশাদ্রব্যর বিরুদ্ধে স্ত্রী ফারজানা সোচ্চারভাবে প্রতিবাদ করলে সংসারে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এমনকি স্ত্রী ফারজানাকে নেশা করে বারবার অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের পরিবার একাধিকবার মীমাংসা করে দেয়া হয়। সেখানে মাদক সেবন ও স্ত্রীকে নির্যাতন করবে না মর্মে কালাম অঙ্গীকার করেন। নির্যাতিতা ফারজানা জানান, বিয়ের পর থেকেই কালাম প্যাথেডিন, মরফিনসহ গাঁজা, ইয়াবা সেবন করে। তাকে এসব সেবন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এছাড়া কালাম ও তার পরিবারের সহযোগীরা মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে আসছে। নেশা করা নিয়ে প্রায় সময় আমাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। যখনি এসব থেকে সরে আসতে বলি তখনই সে আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। সোমবার সকালে নেশা করে ফারজানাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয় কালাম। পরে তার শ্বশুর বাড়ি এসে স্ত্রী ফারজানাকে বেদম মারধর নির্যাতন করে। স্ত্রী ফারজানা নেশাখোর স্বামী কালামের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় কালামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই দোলা জানান, অভিযোগ পেয়েছি তবে এ এসআই শহিদুল ইসলাম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন শুক্রবার সাগরদী সালাম চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে থেকে গাঁজাসহ পুলিশের কাছে আটক হয় কালাম। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে কালামের বিরুদ্ধে নেশা দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অনেক দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায় সে। কিন্তু কালাম মাদক নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলো। সূত্রে আরো জানা যায়, কালামকে কেউ ডিডি কালাম ডাকে, আবার কেউ গাজা কালাম আবার ট্যাবলেট কালাম হিসেবেও পরিচিত। কালাম নেশা করার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সূত্রটি। কালামের মা তাহমিনা হাসপাতালে এক্সট্রা ঝাড়ুদার তাহমিনার বিরুদ্ধে ওষুধ চুরিসহ রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
Post Views:
৩৫১
|
|