Current Bangladesh Time
শুক্রবার মে ১৭, ২০২৪ ১:৫৫ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে ভয়াবহ নদী ভাঙনে বিলীন মসজিদ, বসতভিটা ও রাস্তা 
Wednesday September 22, 2021 , 3:37 pm
Print this E-mail this

করোনা মহামারির চেয়ে নদীভাঙনের আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন

বরিশালে ভয়াবহ নদী ভাঙনে বিলীন মসজিদ, বসতভিটা ও রাস্তা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জে আবারও হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। কোনো কিছুতেই যেন থামছে না সর্বনাশা আড়িঁয়াল খা নদীর ভাঙন। নদী বেষ্টিত বাবুগঞ্জ উপজেলার চারদিকে শুধু ভাঙনের শব্দ। গত ৪৮ ঘণ্টায় ৭টি বসতবাড়ি, মসজিদ, রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় হঠাৎ করে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজি কালিকাপুর ও ছোট মীরগঞ্জ এলাকার দক্ষিণ পাশে খানকায়ে সুলতানিয়া নামক একটি মসজিদ, রফিয়াদী সিংহেরকাঠী গ্রামের মনিন্দ বিশ্বাস, আবুল হাসান ও শহিদুল ইসলামের বসতঘর সহ ৭টি বসতঘর, বিদ্যুতের খুঁটি, মূল্যবান গাছ, বেশ কিছু জমিসহ একাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত দুই সপ্তাহ পূর্বে একটি ইটের রাস্তা নদী ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও শতাধিক বাড়িঘর। ইতিমধ্যে স্থানীদের সহায়তায় আশ-পাশের বাড়ি-ঘরের মালামালসহ ঘর সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে সোমবার বরিশাল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মীরগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন। এলাকার বাসিন্দাররা জানান, করোনা মহামারির চেয়ে নদীভাঙনের আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভাঙনরোধে এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। মীরগঞ্জ লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় লঞ্চঘাটের সড়কের সঙ্গে রাজগুরু ও নতুন চর দুই গ্রামের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় অনেক দিন আগেই। লঞ্চঘাটের সঙ্গে সংযোগ সড়কের কালভার্ট ভেঙে পড়ায় দুই গ্রামের লোকজন ১ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে লঞ্চঘাটে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চাঁদপাশা ইউনিয়নের ময়দানের হাট বাজারের রাস্তার মাথা থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। দ্রুত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ময়দানের হাট ও আরজি কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভাঙনের কবলে পরতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ঝুঁকিতে রয়েছে এখানকার প্রায় ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পানের বরজ, ফসলি জমি ও বসত ভিটা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন বাড়িভিটা হারা মানুষেরা। ছোট মীরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, তার প্রতিষ্ঠান চার বার ভেঙেছে। এবার ভাঙনের কবলে পরলে পথে বসতে হবে। তিনি বলেন, আমরা গ্রামবাসী অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছি। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সূর্য আলম বলেন, আমার ও বড় ভাই শাহ আলমের ঘর ভাঙন কবলে পড়েছে। এ ছাড়া গত দুই দিনে এই এলাকার কয়েকটি পরিবার ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরোয়ার মাহমুদ বলেন, প্রতি বছরই নদী ভাঙনে উল্লেখিত এলাকার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। গত বছর ছোট মীরগঞ্জ সম্পূর্ণটা ভেঙে গেলে বাজারটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এক বছর পার না হতেই আবার ভাঙনের কবলে পড়েছে।ইতিমধ্যে বাজারটির ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স-মিল, মসজিদ, বসতঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান সবুজ বলেন, আমার ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চাঁদপাশা ও রহমতপুর ইউনিয়ন হুমকির মুখে পড়বে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভাঙন রক্ষার্থে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৪০ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছিল। বর্তমানে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা মীরগঞ্জ, এয়ারপোর্টের উত্তর অংশ ও বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটর প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে আগামী ১ মাসের মধ্যে জমা হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা।




Archives
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
Image
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা
Image
বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৌয়াল কুদ্দুস
Image
বরগুনার বেতাগীতে স্পর্শ করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা!
Image
নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর : ডোনাল্ড লু