রাসেল কবির, অতিথি প্রতিবেদক : বরিশালের কাজীরহাট থানাধীন ৭ নং ভাষানচর ইউনিয়ন পরিষদ কালাবদর নদীর গর্ভে যে কোন সময় বিলিন হতে পারে বলে এলাকাবাসী সূএে জানা গেছে। সরজমিনে গেলে জানা যায়, ভাষানচর লঞ্চঘাটে চৌধুরী বাড়ির সম্মুখে ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। প্রায় ২ যুগ পূর্বে ব্যপক নদী ভাঙ্গনের ফলে শত শত একক জমি নদী গর্ভে চলে গেলেও পরিষদ কোল ঘেষেই বিরতি নেই। বিপদ জনক অবস্থায় বর্তমানে পরিষদটি দাড়িয়ে আছে। প্রায় ৮ বছর পূর্বে পরিষদের সামনে বাঁধের ব্যবস্থা করে সে থেকেই পরিষদের সম্মুখে ভাঙ্গন রোধ ঠেকানো গেলেও এলাকাবাসীর মনে আতংকের ছাপ রয়ে গেছেও বলে জানায়। ইউপি সদস্যরা জানায়, ভাষানচর ইউনিয়নের সরকারি চাল এই পরিষদের ভিতরে রাখা হয়। ২/১ দিন পর ভিতর হলেও আতংক রয়ে যায় পরিষদ সংলগ্ন নদী কখন জানি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামিম হোসেন খাঁন শাহসূফী জানায়, পরিষদের কর্ণার হতে ৫ গজ দূরত্ব নদীর পাড় বাঁধ ঠেকানোর পাইলিং ব্যবস্থা থাকলেও নদীর তুফানের আঘাতে পাইলিং নড়বড়ে করে। যে কোন সময় পাইলিং ভেঙ্গে গেলে অল্প সময়ের মধ্যে পরিষদ নদী গর্ভে বিলিন হবে। পরিষদ বাচাঁতে হলে নদীর পাড়ে বালুর বস্তা ফেলে স্রোতের মাএা গতি কমিয়ে আনতে হবে। শক্ত মজবুত বাঁধের মাধ্যমে পাইলিং করে তুফানের গতিরোধ ঠেকানো সম্ভব বলে জানায়। ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চুন্নুর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, সরকারি ভবন মানেই ইউপি পরিষদ। আমি পর পর ৩ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরিষদ বাঁচানোর জন্য নদীর পাড়ে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।