|
বরিশালে দুই ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, নানা গুঞ্জন
শাকিব বিপ্লব : বরিশাল শহরের রুপাতলী এলাকা থেকে দুই ব্যবসায়ীসহ এক যুবককে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার মধ্যরাতে ওই এলাকার একটি বাসা থেকে তিনজনকে একত্রিত গ্রেপ্তারের সময় বেশকিছু ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আদালতে সোপর্দ করা হলেও র্যাবের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। নিশ্চিত হওয়া গেছে, গ্রেপ্তার মনির খান ও নজরুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। উভয়ের বাড়ি ২৪ নং ওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট রুপাতলী এলাকায়। তারা আওয়ামী লীগ ঘরনার লোক হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত। মনির ও নজরুল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফিন মাহামুদ তারেকের অনুসারী হিসেবে ব্যাপক দাপটেও রয়েছে। তাদের সাথে গ্রেপ্তার কাউনিয়া থানাধীন মুকন্দপট্টি এলাকার আব্দুল আজিজের পুত্র হাবিবের বিরুদ্ধে মাদক বাণিজ্যের অতীতের বহুমুখী অভিযোগ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম নীলখোলা পাড়ের বাসিন্দা এক সময়কার মাদক সম্রাট সাত্তারের সহযোগী হিসেবে তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু মনির ও নজরুল মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট কী না স্থানীয়ভাবে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। থানা পুলিশ জানায়, রাত ১১টার পর সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল লাগোয়া আজিজিয়া হাউজিংয়ের মুখে জনৈক ফারুক মিয়ার বাড়িতে এই তিনজনকে র্যাবের একটি অগ্রগামী টিম এক সাথে দেখতে পায়। র্যাবের কাছে তথ্য ছিল যে, হাবিব ইয়াবা সংগ্রহে মনির ও নজরুলের দ্বারস্থ হতে ওই বাড়িমুখী হচ্ছিলেন। আকস্মিক অভিযান চালালে গ্রেপ্তাররা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আসলে হাবিব ইয়াবা ক্রয় করতে গিয়েছিল কী না অথবা নজরুল ও মনিরকে সরবরাহ করতে তার সেখানে উপস্থিতি তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু র্যাব বিষয়টি খোলসা করেনি। গ্রেপ্তার সকলকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অভিহিত করে মামলা দায়ের করেছে। ইতিপূর্বে বরিশাল র্যাব-৮ যে কোন অভিযানের সাফল্যময় তথ্য মিডিয়াকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করলেও এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম দেখা গেল। অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, সাফিন আহম্মেদ তারেক ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা হলেও বরিশাল মহানগরের রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রাখেন। এবং প্রশাসনিক মহলে বেশ পরিচিত। তিনি গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বপক্ষে র্যাবের কাছে ওই রাতে সুপারিশ রাখেন। ধারণা করা হচ্ছে, যে কারণে র্যাব এই বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ যথার্থ প্রয়োগ করলেও মিডিয়াকে এড়িয়ে যায়। অবশ্য গ্রেপ্তারদের বিষয়ে মিডিয়াকে অবহিত না করার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে র্যাবের মিডিয়া বিভাগের এক সদস্য জানায়, ইয়াবার পরিমাণ স্বল্প সংখ্যক হওয়ায় তাদের কাছে বিষয়টি অতটা গুরুত্ব পায়নি। এদিকে তারেকের দুই অনুসারী র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের খবরে নগরীতে নানামুখী আলোচনার জন্ম দেয়। এই বিষয়ে আ’লীগ নেতা সাফিন আহম্মেদ তারেক জোরালো কণ্ঠে দাবি করেন, র্যাবের কাছে সুপারিশের প্রশ্নই আসে না। তবে গ্রেপ্তার মনির ও নজরুল তার রাজনৈতিক অনুগত তা অস্বীকার করেননি। তারেকের ভাষ্য, স্থানীয় রাজনীতিতে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অথবা কোন একটি পক্ষ মনির ও নজরুলকে ইস্যু বানিয়ে তাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র করছে।
সূত্র : বরিশাল টাইমস্ ২৪
Post Views:
১৩৪
|
|