|
সিগারেটসহ সকল তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে
বরিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সিগারেটসহ সকল তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ দ্রুত সংশোধনের দাবি উঠেছে বরিশালে। বৃহস্পতিবার (আগস্ট ১০) দুপুরে তামাকবিরোধী জোটের ৯টি সংগঠনের জোটের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান। এসময় তারা আইন সংশোধনে ১৬টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তবনার কথা জানান। পরে নেতারা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে তামাক বিরোধী প্রচারণা করেন। উত্থাপিত ১৬টি প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- তামাকজাত পণ্যের ওপর ৪০ ভাগ করারোপ, আইন করে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা ও বর্জ্য তৈরির জন্য তামাক কোম্পানীকে জরিমানা আইনের আওতায় আনা। এছাড়া তামাকজাত পণ্যে বিদ্যমান সারচার্জ ১ ভাগ থেকে বৃদ্ধি করে ৩ ভাগে উন্নিত করা। আইন করে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ, আকর্ষণীয় প্যাকেজিংরে পরিবর্তে প্লেইন প্যাকেজিং বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। অত্যাবশকীয় পণ্যের তালিকা থেকে সিগারেটের নাম বাদ দেওয়া, আইন করে তামাকশিল্পে বিনিয়োগ বন্ধ, বাসা-বাড়ি ও নিজস্ব গাড়িতে ধুমপান নিষিদ্ধে আইন করার দাবি জানানো হয়। ধুমপান আইন ভঙ্গকারীর জরিমানা স্থানভেদে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থসেবা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তামাকজাতীয় পণ্য বেচাবিক্রি নিষিদ্ধ করা। তামাক কোম্পানীর স্টিকার, বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোষ্টার বা অন্য কোন কৌশলী মাধ্যমে প্রচার চালালে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীকে ৬ মাসের জেল ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার আইন প্রণয়ন করতে হবে। সরকার বা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির তামাক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা এবং শিশুর নিকট তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করলে জেল ও ৫ লাখ টাকার জরিমানর বিধান রেখে আইন প্রণয়নের দাবি জাননো হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-আইসিডিএ-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার জাহিদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন, ম্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক শুভংকর চক্রবর্তী, স্কোপের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু, সানএইড-এর নির্বাহী পরিচালক আনিচুর রহমান চৌধুরী, জেডিএস ঝালকাঠির পরিচালক শাহ আলম খলিফা, এসইউভিও-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিনা বেগম নিলা।
Post Views:
৬৪
|
|