চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুটি গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য
বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলা : মেয়রসহ সব আসামির অব্যাহতি চেয়ে প্রতিবেদন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ সব আসামির অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লোকমান হোসেন ও পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।আদালতের বিচারক মো: মাসুম বিল্লাহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুটি গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি মামলার দুই বাদীকে জানাতে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন। সোমবার (জানুয়ারি ৩) অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার জেনারেল রেজিস্টার অফিসার (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দাস বলেন, মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লোকমান হোসেন ও পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন ৭ ডিসেম্বর জিআরও অফিসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ১৫ ডিসেম্বর তা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক মো: মাসুম বিল্লাহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুটি গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের মধ্যে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন গত বছরের ১৮ আগস্ট রাতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা অপসারণ করতে যান।
এরপর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্’র অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের একদল কর্মী সেখানে যান। এ সময় প্রথমে আনসার সদস্যরা ও পরে তৎকালীন ইএনও মো: মুনিববুর রহমান বাধা দিলে তার বাসভবনে কয়েক দফায় হামলা হয়। হামলাকারীদের রুখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হন। এছাড়া বেশকয়েকজন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী আহত হন। পরদিন ১৯ আগস্ট দুপুরে এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আরও ৯৪ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় কোতোয়ালি মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেনকে। অন্যদিকে ওই ঘটনায় একই দিন দুপুরে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় আরও একটি মামলা হয়। তৎকালীন ইউএনও কর্মকর্তা মো: মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তৎকালীন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনকে। পরে আনোয়ার হোসেন বদলি হলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় বর্তমান কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: লোকমান হোসেনকে। দুটি মামলার তদন্ত শেষে পরিদর্শক মো: লোকমান হোসেন ও পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন আদালতে সব আসামির অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরিদর্শক মো: লোকমান হোসেন ও পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেন, তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা এ বিষয়ে আর কোনো কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেনে।
Post Views:
১৫৬
|