Current Bangladesh Time
শনিবার মে ৪, ২০২৪ ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালের শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং মারধর করার অভিযোগ! 
Monday February 3, 2020 , 8:57 pm
Print this E-mail this

বরিশালের শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং মারধর করার অভিযোগ!


নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরের রুপাতলীতে অবস্থিত শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের বালক শাখায় দুই শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা এবং মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের শিশুদের দিয়ে লাকড়ি, বড় বড় পাত্রে গরম খাবার আনা-নেওয়াসহ, ভারী কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও ও লাকড়ি বহনের ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির দায়িত্বরত প্রকল্প উপ-পরিচালক বাসুদেব দেবনাথ। তিনি জানান, এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঝালকাঠি আদালত দু’জন ভবঘুরে শিশুকে শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হেফাজতে দেন। জিসান ও হযরত নামের ওই দুই শিশু কেন্দ্রে আসার কয়েকদিন পরেই শিকল দিয়ে তাদের গাছের সাথে তালা মেরে রাখা হয়। যার একটি ভিডিও সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যায়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, হযরত কেন্দ্রে থাকলেও সেখানে নেই জিসান। হযরত বলেন, জিসান কেন্দ্রের এক বড়ভাই মেহেদীর মারধরের ভয়ে পালিয়ে গেছে। আর ওই বড়ভাই-ই স্যারের নির্দেশে তাদের দু’জনকে শিকল দিয়ে বেশ কয়েকদিন বেঁধে রেখেছিলো। আর স্যারের নির্দেশের কথা বড়ভাই মেহেদীই তাদের বলেছিলো। অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী নামের ওই নিবাসী প্রকল্প উপ-পরিচালক, ফারুক নামের অপর এক কর্মকর্তারা কাছ থেকে আলাদাভাবে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে। প্রায়ই কেন্দ্রের বিভিন্ন শিশুদের মারধর ও বকাঝকা করে। তবে মেহেদীর বক্তব্য অনুযায়ী, সে কাউকে মারধর করেন না, তবে তার দরজায় রাতের বেলা লাথি মারায় সে জিসান ও হযরতকে কেন্দ্রের খেলার মাঠের পাশেই শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলো। আর সেই শিকলটি কেন্দ্রের ভেতরেই তিনি পেয়েছেন। শিশুদের দিয়ে কাজও করানো হয় বলে অভিযোগ। এদিকে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দৈনিক মজুরি ভিত্তিক স্টাফরা জানান, তারা প্রয়োজন ছাড়া কোনো শিশুকেই কোনো কাজের কথা বলেন না। যদিও কেন্দ্রের শিশু নিবাসীদের অভিযোগ, তারা বালক কেন্দ্র থেকে বালিকাদের কেন্দ্রে কিংবা বালিকা থেকে বালকদের কেন্দ্রে ভাত ও ডালের বড় বড় পাত্র, জ্বলানির লাকড়ি বহন করে থাকেন প্রায়ই। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক ধোয়ার কাজও করতে হয়। কথা না শুনলে তাদের নানাভাবে শাস্তি দেওয়া হয়। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ছেলেদের থাকার ঘরগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। বালিকা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কক্ষ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার তালাবদ্ধ রয়েছে। এছাড়াও বালক কেন্দ্রে একটি কম্পিউটার থাকলেও সেটি রাখা হয়েছে শিক্ষকদের কক্ষে। সার্বিক বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক আল মামুন জানান, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয়টি জানার পরপরই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন পেলে প্রকল্প পরিচালকের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত প্রকল্প অনুসারে ২০১২ সালে রুপাতলী মাওলানা ভাসানী সড়কে স্থপান করা হয় শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের বালক শাখা। তার ঠিক দুই বছর পরে ২০১৪ সালে স্থাপন করা হয় ওই কেন্দ্রের বালিকা শাখা।




Archives
Image
শ্রমিকের ওপর হামলায় সড়ক অবরোধ, উত্তপ্ত বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল
Image
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলগত ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
Image
সর্বনিম্ন রিচার্জের মেয়াদ বাড়াল গ্রামীণফোন
Image
বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা, ছোট ভাই গ্রেফতার
Image
পদত্যাগ করে দুধ দিয়ে গোসল বিএনপি নেতার