|
নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় উন্মুক্ত বিনোদন স্পটগুলো মাদক সেবী ও বখাটেদের দখলে
বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়
মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : করোনা প্রাদুর্ভাব কারণে টানা দুই বছর দর্শনীয় স্থানগুলো বন্ধ থাকায় ভ্রমণ পিপাসুরা ঈদ, কোরবানি কিংবা অন্য কোনো উৎসবে বাইরে বের হতে পারিনি। এবার ঈদ-উল ফিতরে বরিশালের দর্শনীয় সব স্থানগুলো উন্মুক্ত থাকায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার (মে ৩) ঈদ-উল ফিতরের দিন থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে শিশুদের পদচারনায় মুখর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। নগরীর প্রধান বিনোদন-কেন্দ্র কীর্তনখোলার তীর ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, শিশুপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু (দপদপিয়া), পায়রা সেতু, গুঠিয়ার বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স, রায়পাশা কড়াপুরের মিয়া বাড়ির মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল থেকেই মানুষের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে। রঙ বেরঙের পোশাকে পরিবার পরিজনের সাথে তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ ছুটে আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ভ্রমণ পিপাসুরা জানান, কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী মুক্তিযোদ্ধা পার্ক থেকে নদীর তীরবর্তী প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে তৈরি করা বেড়িবাঁধ, নদী তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ ও বেলতলা এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ না করলে ঈদ যেন সার্থক হয় না। নদীর তীরবর্তী এসব স্পটে দর্শনার্থীদের বাড়তি বিনোদন হিসেবে নৌকা-ট্রলার সহ সি-বোটের ব্যবস্থা রয়েছে। কীর্তনখোলা নদীতে বসে ব্যস্ত শহরের দিক থেকে উল্টো বিপরিত দিকে ছায়া ঘেরা এক গ্রামীন জনপদ ও বন-বনানীতে ঠাসা সবুজের সমারোহ উপভোগ করছেন। ওপরে দিগন্ত ভরা সাদা ও নীলের ছোঁয়া। এ যেন মনোমুগ্ধকর কোন চিত্র শিল্পীর রং তুলির আঁচড়ে আঁকা এক ছবি। বরিশাল নগরী সংশ্লিষ্ট বিনোদন কেন্দ্র কীর্তনখোলার তীর ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, শিশুপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু (দপদপিয়া) সহ আমতলার মোড়স্থ স্বাধীনতা পার্ক, আমানতগঞ্জের দুটি পার্ক, বিএম স্কুল সংলগ্ন পার্ক সহ অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রের গাড়ি পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন অনেকই। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা মানুষরা জানান, ২/১ টি স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও তাতে ইচ্ছে মাফিক টাকা দিতে হয়। এছাড়াও এসব স্থানে বখাটের উৎপাতে এসব বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে বেশিক্ষন তাকা সম্ভব হয় না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব উন্মুক্ত বিনোদন স্পটগুলো মাদক সেবী ও বখাটেদের দখলে চলে যায়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন খান জানান, মেট্রোপলিটনের আওতায় যেসব বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা জানান, টহল পুলিশ কিংবা বিনোদন কেন্দ্রে দায়িত্বরতরা ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারেন না। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থানের সময় বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রগুলো যেসকল প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাদের নিরাপত্তা কর্মী কিংবা আনসার সদস্য নিয়োগ করলে নানান অপ্রীতিকর ঘটনা কমে আসবে। পাশাপাশি যানবাহন রাখার জন্য নিয়ম মাফিক পার্কিং স্থান তৈরি করতে হবে।
Post Views:
১৭৬
|
|