Friday October 22, 2021 , 9:35 pm

ট্রলার ও বিপুল পরিমান জাল জব্দ, আটককৃত দুই জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ

বরিশালের বাবুগঞ্জে ইলিশ রক্ষা অভিযান : নোঙর করা নৌকা ভাঙ্গায় তোপের মুখে এসিল্যান্ড

নুরে আলম, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : মা ইলিশ রক্ষা ২২ দিনের অভিযানের বাকি মাত্র ২ দিন। অভিযানের শেষ পর্যায়ে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বাবুগঞ্জের জেলেরা। অভিযানে গিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমানকে। দুই দফায় হামলার শিকার হন তিনি। তবে চর ডাকাতিয়া এলাকায় নোঙর করা নৌকা ভাঙ্গার গিয়ে তোপের মুখে পরেন তিনি এবং বাড়িতে থাকা মহিলা পুরুষদের গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ২টি ট্রলার ও ২টি স্পিডবোট যোগে মৎস্য অভিযানে নামেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান ও তার টিম। দুই দফায় তার ট্রলারে জেলেদের হামলা হলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের সদস্য সংখ্যা কম থাকায় জেলেরা এ ধরনের হামলার সাহস দেখিয়েছে বলে ধারণা করছেন অভিযানের অংশ গ্রহণকারী সংবাদকর্মী মোঃ শফিকুল ইসলাম। স্থানীয় ও অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে আড়িয়াল খাঁ নদের কাঠেরচর এলাকায় জেলেদের জাল ফেলার খবর শুনে সেখানে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান ও তার টিম। জেলেরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিরে এসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন পাল্টা ধাওয়া দিলে জেলেরা ধান ক্ষেতের মধ্য লুকিয়ে পরে। অপরদিকে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া (চর ডাকাতিয়া) এলাকায় অভিযান পরিচালনায় এক পর্যায় জেলেদের ধাওয়া করেন। পরে জেলেদেরকে না পেয়ে নদী থেকে ছোট খালের ভিতরে প্রবেশ করে নোঙর করা নৌকা ভাঙ্গার কারণে স্থানীয়দের তোপের মুখে পরেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মিজানুর রহমান সহ তার টিম। স্থানীয় নারী ও পুরুষ রা হামলার প্রস্তুতি নিলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান গুলি করার ভয় দেখিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরে পরিস্থিতি সামলে সেখান থেকে ৩ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও বিপুল পরিমান জাল জব্দ করে নিয়ে আসেন। এছাড়াও ৭/৮ টি নৌকা ও একটি ট্রলার ভেঙে ফেলার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা মোঃ স্বপন, মোঃ বাকিবুল্লাহ, মোঃ রাজিব সহ আরো অনেকেই। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অভিযানে মোট ২টি ট্রলার ও ২টি স্পিডবোট দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দ কৃত জাল বকুলতলা এসে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং আটককৃত দুইজন জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, নোঙর করা নৌকা ভাঙ্গা হয়নি। মা ইলিশ শিকারে নামলে জেলেদের ধাওয়া করলে তারা নৌকা রেখে পালিয়ে যায়। পরে কিছু নৌকা ভাঙ্গা হয়েছে। ইলিশ শিকার করতে না পেরে জেলেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পর্যাপ্ত পোশাকধারী পুলিশ না থাকায় জেলেরা হামলা চালানোর সাহস পেয়েছেন। তবে গুলি চালানোর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কোন ছাড় দেয়া হতো না।