Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার জুলাই ৮, ২০২৫ ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরগুনায় এক বাড়িতেই ২৬ জন ভিক্ষুকের বসবাস! 
Wednesday May 22, 2019 , 2:06 pm
Print this E-mail this

বরগুনায় এক বাড়িতেই ২৬ জন ভিক্ষুকের বসবাস!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি-এক বাড়িতেই ২৬ জন ভিক্ষুকের বসবাস। বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের খোলপটুয়া গ্রামের লওয়াই বাড়ি। ভিক্ষুক বাড়ি নামেই এই বাড়ির পরিচিতি। মরহুম আঃ লতিফ ওরফে লওয়াই এর নামানুসারে এই বাড়িটি স্থানীয়দের কাছে লওয়াই বাড়ি নামেই পরিচিত। এই বাড়িতে মোট ১৪টি পরিবারের বসবাস। প্রতিটি পরিবারেই কেউ না কেউ পেশা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকেই বেছে নিয়েছেন। তবে এই বাড়িতে পুরুষ ভিক্ষুককের চেয়ে নারী ভিক্ষুকই বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আপাত দৃষ্টিতে তাদের এই বাড়ির সকলের ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসায়িক মনে হলেও সরজমিনে গিয়ে গেছে এর ভিন্ন চিত্র। বাড়ির বেশির ভাগ পুরুষ শারীরিক পরিশ্রমে অক্ষম এবং নারীদের জন্য নেই পযাপ্ত কর্মক্ষেত্র। তাই জীবনের তাগিদে বাড়ির সব নারীকেই বেছে নিতে হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি। ঘুর্ণিঝড় সিডর পরবতী সময়ে লওয়াই বাড়ির ১৪টি পরিবারকে একটি বেসরকারি সংস্থা মাথা গোজার ঠাঁই করে দিলেও বর্তমানে সব ঘর গুলোরই জরাজীর্ণ দশা। সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে যাবার আশংকা তাদের বসতঘরের। এই বাড়িতে মাতৃস্নেহ ছাড়াই বেড়ে উঠছে বাড়ির ছোট ছোট শিশুরা এবং বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার সুযোগ থেকে। লওয়াই বাড়ির ভিক্ষুক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় প্রভাব পড়ছে তাদের উপার্জনে। একজন সাধারণ ভিক্ষুকের থেকে তাদের উপার্জন অনেক কম এবং ক্রমশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে তাদের জীবনযাত্রার ব্যায়ভার বহন। খোলপটুয়া গ্রামের লওয়াই বাড়ির ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় থাকা আঃ গনি লওয়াই বলেন, মোর বাপে হেই কোলে থাহা অবস্থায় মরছে। মায় তিন ভাই বোনরে কি খাওয়াইয়া মানু হরবে। হের লইগ্যা মায় ছোট থেকেই মোরে কোলে কোলে লইয়া ভিক্ষা হরছে। হ্যার পর মায়ও মরছে। এহন মুই কি খামু। হের লইগ্যা মুইও ছোডকাল থেইক্যা ভিক্ষা হরি। মোর একটা পা দিয়া হাটতেও পারি না। মোগো বাড়ির ভিক্ষুদের কেউ ভালো চোহে দ্যাহে না। বয়স্ক ভাতা ছারা মোরা কিছুই পাইনা। শুধু গনিই লওয়াই নয় মোশ্বেদা, তাজেনুর, কুলসুম, ফাতেমা, হনুফা, ছকিনা, মালেকা, রিজিয়া, খোদেজা, ময়না, হালিমা, খোকন, রাবেয়া, রেখাসহ এ বাড়ির সকলের একটাই অভিযোগ কেউ তাদের খোজ রাখে না। কোন সাহায্য সহযোগিতা দূরে থাক তারা যাতে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে এই ভিক্ষাবৃত্তি পেশা ছারতে পারে এই পরামর্শটুকুও কেউ কোন দিন তাদের দেয়নি। তারাও চায় সমাজের অন্য সকলের মতো কাজ করতে। ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে। বিভিন্ন সময় বামনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বামনাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও তার ছোয়া এসে পৌঁছায়নি এই বাড়িতে। সক্ষম নারী ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে দেখা গেছে যে তারা শুধু মাত্র কর্মসংস্থানের অভাবেই ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছে। তারাও চায় সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হতে। মুছে ফেলতে চায় তাদের ভিক্ষুকের পরিচয়। তারাও স্বপ্ন দেখে তাদের সন্তানেরা বেড়ে উঠবে অন্য সব সাধারণ শিশুদের মত।

সূত্র : কালের কন্ঠ




Archives
Image
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সহ ১৯ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব
Image
প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি : নাহিদ
Image
বরিশালে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে আইজিপি
Image
সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো সাগরের পাশে বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
মূলধারার গণমাধ্যমও ভুয়া তথ্যের ‍উৎস : প্রধান উপদেষ্টা