প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরগুনায় নিহত মেয়ের জামাইয়ের মরদেহ আনতে মর্গে গেলে তোপের মুখে পড়েন নিহত রিফাতের শ্বশুর
Thursday June 27, 2019 , 7:28 pm
বরগুনায় নিহত মেয়ের জামাইয়ের মরদেহ আনতে মর্গে গেলে তোপের মুখে পড়েন নিহত রিফাতের শ্বশুর
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বরগুনা সরকারি কলেজের নির্মমভাবে নিহত শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফের (২৫)। বৃহস্পতিবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মেয়ের জামাইয়ের মরদেহ আনতে মর্গে গেলে তোপের মুখে পড়েন নিহত রিফাতের শ্বশুর মোজাম্মেল হোসেন। এ সময় মোজাম্মেল হোসেনকে হাসপাতালের মর্গ থেকে বের করে দেন রিফাতের বন্ধুরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের মর্গের সামনে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হয় রিফাতের শ্বশুর মোজাম্মেল হোসেনকে। এ সময় ঘটনাটি প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, আমার মেয়ের সঙ্গে খুনিদের কোনো পরিচয় ছিল না। খুনিরা আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত বলে জামাই এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। তাই তাকে খুন করা হয়েছে। মোজাম্মেল হোসেনের এমন বক্তব্য শোনার পর পরই তার ওপর চড়াও হন এ সময় রিফাতের কয়েকজন বন্ধু। তারা সেই সময় মোজাম্মেল হোসেনকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করেন। নিহত রিফাতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মঞ্জুরুল আলম জন, বিল্লাল হোসেন, নাজমুলের দাবি-রিফাতের শ্বশুর সাংবাদিকদের মিথ্যা বলছেন। তার মেয়ের সঙ্গে খুনিদের পরিচয় ছিল। খুনি নয়নের সঙ্গে রিফাতের স্ত্রীর প্রেম ছিল তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে এসে তিনি এ কথা আড়াল করছেন। এ ছাড়া মোজাম্মেল হোসেন এ বিষয়ে আরও অনেক কিছু জানেন, যা তদন্তের স্বার্থে কাজে লাগতে পারে বলে দাবি করেন রিফাতের বন্ধুরা। এ সময় মোজাম্মেল হোসেন হাসপাতালের মর্গের সামনেই রিফাতের বন্ধুদের রোষানলে পড়েন। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দেন রিফাতের বন্ধুরা। নিহত রিফাতের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক জামিল হোসেন, ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক চিকিৎসক মাইদুল হোসেন ও প্রভাষক চিকিৎসক তন্নী। অধ্যাপক জামিল হোসেন বলেন, গলার রগ কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে রিফাত শরীফের। তার গলায়, মাথায় ও বুকের ওপর তিনটি বড় ক্ষত দেখা গেছে। এ ছাড়া তার ডান হাত এবং বাম হাতে দুটি বড় ক্ষত রয়েছে। সব মিলিয়ে রিফাতের শরীরে সাত থেকে আটটি বড় আঘাত রয়েছে। প্রসঙ্গত গতকাল বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে এভাবে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।