Current Bangladesh Time
শুক্রবার মে ১৭, ২০২৪ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে খুশি চা শ্রমিকরা 
Sunday August 28, 2022 , 8:35 am
Print this E-mail this

১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফিরছেন তারা

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে খুশি চা শ্রমিকরা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা ধার্য করায় খুশি চা শ্রমিকরা। তারা প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চা শ্রমিক নেতারা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর শ্রমিক নেতারা চা বাগানের পঞ্চায়েত নিয়ে বসেন। পঞ্চায়েত কমিটির প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তে তারা অনেক খুশি। সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তের পর দীর্ঘ ১৯ দিনের কর্মবিরতি ইস্তফা দিয়ে রোববার (২৮ আগস্ট) থেকে পুরোদমে বাগানে কাজে যোগ দেবেন শ্রমিকরা। এতে করে চা-শিল্পে দীর্ঘ ১৯ দিনের অচলাবস্থার নিরসন হতে যাচ্ছে। নতুন মজুরি নির্ধারণের বিষয়ে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রের প্রধান। তার সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। আর চা-শ্রমিকরা আন্দোলনের সময়ও বলেছিলেন-প্রধানমন্ত্রী বললেই তারা কাজে যোগ দেবেন। তার যেকোনো সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা মেনে নেবেন। তাই রোববার থেকেই তারা কাজে যোগ দেবেন। তবে কতিপয় চা শ্রমিকরা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করার বিষয়ে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের বাইরে দু’চারটা ছেলে প্রতিবাদ করছে, ওরা চা শ্রমিক না। সিলেট ভ্যালির আওতাধীন ২৩টি চা বাগানের মধ্যে কেবল মালনিছড়া ও লাক্কাতুড়ার কিছু শ্রমিকের মধ্যে সামান্য সমস্যা আছে এটা ঠিক হয়ে যাবে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা ঠিক করে দেওয়ার পর আমরা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি নিয়ে বসেছি। এতে কারো কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে চা শ্রমিকরা সবাই খুশি। সবার একটাই প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শোনার। তিনি মজুরি যা নির্ধারণ করে দেবেন শ্রমিকরা তা মেনে নেবে। আমরা মেনেও নিয়েছি। প্রত্যেক ভ্যালিতে মিটিং হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত সানন্দে মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়ে এসেছি। আমরা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যা করতে পারতাম না তা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চা-শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা ভ্যালির সব নেতাদের বলেছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর আগে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কিছু দাবি দাওয়া তুলে ধরেছিলেন। সেই দাবিগুলোর মধ্যে ভূমি অধিকার, গর্ভবতী নারীদের ৬ মাসের ছুটিসহ শ্রম আইনের চা শ্রমিকদের বৈষম্য দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করেন তারা। তাছাড়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি বলার পর কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি। আর কেউ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত। আমাদের শ্রমিক সংগঠন বা পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তের বাইরে। চা শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য রিতেশ মোদি বলেন, আমার প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের মজুরি আড়াইশ’ না হোক, ২শ’টাকা করে দেবেন। তবে এটাও ঠিক চা শিল্প ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ১৭০ টাকা মজুরি ধার্য করে দিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তকে আমরা মেনে নিচ্ছি। এরপরও অনুরোধ থাকবে, বছর শেষে নতুন চুক্তি বাস্তবায়নে শ্রমিকদের মজুরি পূণর্বিচেনার। কেননা বর্তমান বাজার দর, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এ মজুরি দিয়ে সংসার চালানো চা শ্রমিকদের জন্য কঠিন। তাই অন্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অন্তত বছর শেষে নতুন চুক্তিতে যাতে মজুরি পূণর্বিবেচনা করেন মালিকরা, সেই অনুরোধ জানান তিনি। এরআগে শনিবার বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে গণভবনে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা-বাগান মালিকদের বৈঠক শুরু হয়। এতে দেশের বৃহৎ ১৩টি চা-বাগান মালিক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এদিন বিকেলে বৈঠক খবর জানতে চা শ্রমিকের চোখ গণমাধ্যমের দিকে ছিল। তারা বৃষ্টিতে ভিজেও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন। সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা শ্রমিক নেতাদের মাধ্যমে বাগানে বাগানে পৌঁছালে তারা খুশিতে ফেটে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাগানে আনন্দ মিছিলও বের করা হয়। মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে দুইদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের এ দাবিতে মালিক পক্ষ সায় না দেওয়াতে ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যান। এরপর দেশের ১৬৮টি বাগানে (ফাঁড়ি চা বাগানসহ ২৩২টি) ছড়িয়ে পড়েছিল এ আন্দোলন। চা শ্রমিকরা তাদের দৈনিক কাজ বন্ধ রেখে রাজপথে নেমে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। আন্দোলন থেকে ফেরাতে শ্রম অধিদপ্তরের মহাসচিব থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনও ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের লাক্কাতুড়া চা বাগানের গলফ মাঠে চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেই তারা কাজে ফিরে যাবেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ধার্য করে দেওয়া ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফিরছেন চা শ্রমিকরা।




Archives
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
Image
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা
Image
বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৌয়াল কুদ্দুস
Image
বরগুনার বেতাগীতে স্পর্শ করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা!
Image
নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর : ডোনাল্ড লু