|
২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে
প্রথম টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হবেন প্রধানমন্ত্রী
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ওই দিনই পদ্মা সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে না। পরদিন ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে। সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে সেতুর ফলক উন্মোচনের পর সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর তিনি টোল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িতে সেতু পার হবেন। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িই প্রথম টোল দিয়ে সেতু পার হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাজিরা প্রান্তে ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা দুপুরের মধ্যে শেষ করবেন। বিকেলে তিনি মাদারীপুরের শিবচরে সমাবেশে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফিরতি যাত্রা সড়কপথে না হয়ে হেলিকপ্টারেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, দুপুরের পর থেকে পদ্মা সেতু মোটামুটি উন্মুক্তই থাকবে। এ সময়টায় কী করা হবে-এটা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অধিকাংশ মত হচ্ছে, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর উৎসুক মানুষের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। পদ্মা সেতুতে মানুষের আগ্রহ আরও বেশি। ফলে এই সেতু চালুর পর উৎসুক মানুষকে দেখতে দেওয়া উচিত। আর সাধারণ মানুষকে হেঁটে যেতে দিলে ওই সময় সেতু দিয়ে গাড়ি চলতে দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, সেতুতে হাঁটার আলাদা কোনো জায়গা নেই। ফলে গাড়ি এবং মানুষের চলাচল একসঙ্গে দিলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে। তাই যানবাহন চলতে দিলে সাধারণ মানুষের সেতুতে ওঠার সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। সেতু বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ২৬ জুন থেকে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল করবে। আর উদ্বোধনের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া যেতে পারে। তবে এর সবকিছুই সে সময় মানুষের উপস্থিতি, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই কবে থেকে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং সাধারণ মানুষকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হলে কত সময়ের জন্য দেওয়া হবে-এই বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে সরকার।
প্রকল্পের নাম :
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
প্রকল্পের অবস্থান :
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় প্রকল্পের অবস্থান। সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ এবং দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।
যেভাবে কাজ শুরু হয় :
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে জাপানিদের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই হয়। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সুপারিশ মেনে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু করার চূড়ান্ত নকশা করা হয়।
Post Views:
১৩৩
|
|