|
কমিটির সকলের সরেজমিনে পুড়ে যাওয়া জাহাজ ও ঘটনাস্থল দুটি পরিদর্শন
পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে ত্রুটি পেয়েছে তদন্ত কমিটি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি লঞ্চটি পরিদর্শনে শেষে প্রাথমিকভাবে ইঞ্জিন রুমে কিছু ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. তোফায়েল ইসলাম তদন্ত শেষে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত বলবেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে লঞ্চটি পরিদর্শনে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ নামে তিন তলা লঞ্চটি ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে ভেড়ানো ছিল, পরে এটিকে ঝালকাঠি নৌবন্দরে নেওয়া হয়। পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সবাই সরেজমিনে পুড়ে যাওয়া জাহাজ ও দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আমাদের এখানে যে অভিজ্ঞতা হলো তা কাজে লাগিয়ে বলতে পারবো কি কারণে এ ঘটনা ঘটলো। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া দুটি অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ড্রাইভার ছিল কি, ছিল না―এগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। কাগজ-কলমে মিলিয়ে বাস্তবেও যাচাই করে দেখবো। ইঞ্জিন রুমের ত্রুটির বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচি বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে কিছু ত্রুটি আমরা পেয়েছি। সেটা কি এবং কেন হয়েছে তার লিংকআপ করতে হবে। কারণ প্রাথমিকভাবে যা পেয়েছি সেটাকে লিংকআপ না করে মূল সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবো না। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি-না, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি। কমিটির প্রতিবেদনে সবকিছু উল্লেখ করা হবে। অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনার পেছনে প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ধারণা তো প্রাথমিক। যেহেতু আমি তদন্ত কমিটির একজন সদস্য এবং আহ্বায়ক, তাই এ মুহূর্তে ধারণার ওপর অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে কিছু বলতে পারি না। সবাই একসঙ্গে বসে কমপাইল করে সিদ্ধান্তে আসবো। ঢাকা সদরঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় পাঁচশ’ যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল এমভি অভিযান-১০। চাঁদপুর, বরিশাল ও দপদপিয়া ঘাট পেরিয়ে লঞ্চটি যাচ্ছিল বেতাগী, শেষ গন্তব্য ছিল বরগুনা; শীতের রাতে যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন ঘুমে। রাত ৩টার দিকে কোনো এক সময় চলন্ত লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই অবস্থাতেই এগিয়ে যেতে থাকে অভিযান-১০, এক পর্যায়ে পুরো লঞ্চ পরিণত হয় অগ্নিকুণ্ডে। সেই আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা। ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২১ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরই মধ্যে শুক্রবার একজন মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে ৬৭ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Post Views:
১২৯
|
|