Current Bangladesh Time
রবিবার মে ১৯, ২০২৪ ৮:৩১ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ভিত্তি আর পিলারেই ১৩ বছর পার 
Friday October 29, 2021 , 7:13 pm
Print this E-mail this

যেকোনো সময় ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা

পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ভিত্তি আর পিলারেই ১৩ বছর পার


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিন তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। অপরদিকে ৩১ শয্যার পুরনো ভবনটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জরাজীর্ণ। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। আর ৫০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ভবনটি ভিত্তি আর পিলারেই পার করে দিয়েছে ১৩ বছর। কবে এই ভবন নির্মাণকাজ শেষ হবে তা কেউ বলতে পারে না। এমন অবস্থায় এ উপজেলার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট মেসার্স নূর-ই এন্টারপ্রাইজ নামে বরিশালের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ৫০ শয্যার নতুন ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এতে হাসপাতালের সম্প্রসারিত নতুন ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চার ইউনিটের দুটি নতুন আবাসিক ভবন, একটি নতুন দ্বিতল বহির্বিভাগ ভবন ও পুরনো হাসপাতাল ভবন এবং কোয়ার্টারের সংস্কারকাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই কার্যাদেশের ১৮ মাসের মধ্যে সম্প্রসারিত অবকাঠামো নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার নির্দেশ ছিল। সে অনুযায়ী ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। ভবন নির্মাণের জন্য দুটি পুকুর খনন করে ভিত্তি আর পিলার স্থাপন করা হয়। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। পরে ২০১৪ সালের ২৫ জুন মেসার্স নূর-ই এন্টারপ্রাইজকে দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ভবন নির্মাণের কাজ আটকে আছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুরনো ৩১ শয্যার হাসপাতাল ভবনটি এখন চরম ঝুঁকিতে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও দুজন চিকিৎসক নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক সঙ্কট ছাড়াও ১৩ বছর আগে ঘোষণা করা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

সামান্য বৃষ্টি হলেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। সিলিং ও ভিম থেকে কংক্রিট ভেঙে পড়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আবাসস্থলের অবস্থাও অত্যন্ত করুণ। যেকোনো সময় ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এখানকার মানুষকে বড় কোনো সমস্যায় ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যেতে হয়। গাইনি বিভাগ, অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগ, আরএমও বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, বহুবার আবেদন-নিবেদনের পরও ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়নি। চিকিৎসক এবং জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসাসেবায় বিঘ্ন ঘটছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ই আতঙ্কের মধ্যে থাকে।




Archives
Image
বরিশাল শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে : সচিব
Image
বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
Image
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা
Image
বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৌয়াল কুদ্দুস