Current Bangladesh Time
শুক্রবার এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৮:২৮ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পালিয়েও রক্ষা পেল না নাতি, বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হলো দাদিকে! 
Tuesday September 7, 2021 , 8:55 pm
Print this E-mail this

রাতে নিজ ঘরে প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন দাদি

পালিয়েও রক্ষা পেল না নাতি, বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হলো দাদিকে!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ৫৫ বছরের শিরিনের স্বামী মারা যায় ৫ বছর আগে। তিনি নিজ বাড়িতে একাই থাকেন। বাড়িটিতে আসা-যাওয়া ছিল প্রতিবেশী ২৫ বছর বয়সী যুবক ফারুকের। সম্পর্কে তারা দাদি-নাতি। এরই মধ্যে এক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ তা বাড়ে তাদের মধ্যে। একসময় তা রূপ নেয় অনৈতিক সম্পর্কে। তবে অনৈতিক এ সম্পর্কটি আর গোপন থাকেনি। অন্তরঙ্গ অবস্থায় তারা খেয়েছেন ধরা। যারপরনাই স্থানীয় সালিশি সিদ্ধান্তে ২৫ বছরের ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে ৫৫ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে। গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়হিত ইউনিয়নের বিয়ের রেজিস্ট্রি কাজে নিয়োজিত কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ ঘরে প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন দাদি। পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সালিশে বসে নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই নাতি পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দাদিকে নাতির বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন। খবর শুনে একদিন পালিয়ে থাকার পর রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) নাতি বাড়ি ফিরেন। পরে ওইদিন আবারও স্থানীয়রা সালিশে বসে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। যদিও এ বিয়েতে রাজি ছিলেন না কেউই। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলামসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে জোর করে এ বিয়ে দেন। ওই নারীও এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। মাফ চেয়েও পার পাননি তারা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য খাইরুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না, পরবর্তীতে তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ধরা পড়ে দাদি নাতির বিয়ের আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় এখন কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।




Archives
Image
অভিমান ভুলে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন তাহসান-মিথিলা
Image
বোতলজাত সয়াবিনের লিটারে দাম বাড়ল ৪ টাকা
Image
শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না ফেরদৌস-মৌসুমী!
Image
একই পরিবারে নিহত ৬, হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির
Image
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর