|
পটুয়াখালীর বাউফলে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, ছয় ঘন্টা পর উদ্ধার, আটক ৮
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফলে জমির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষ পুলিশ থামাতে গেলে চোখে মরিচের গুড়া মেরে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়েছে এক দল সন্ত্রাসি বাহিনী। সোমবার সকাল সারে আটটার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার ছয় ঘন্টা পর আলম হাওলাদার নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে তার সিকারউক্তি অনুযায়ী বাড়ির পিছনের একটি নারিকেল গাছ থেকে গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সহ উভয় পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার গংদের সাথে একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের সাথে ১৯ একর ৫৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালে ওই বিরোধিয় জমিতে কামাল হোসেন গংরা প্রায় ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে যায়। হাকিম হাওলাদার গংরা জমি চাষে বাধা দিতে গেলে তাদেরকে জমির কাছে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়। হাকিম হাওলাদার এঘটনা বাউফল থানাকে জানালে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ গেলে কামাল হোসেনের পক্ষের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় এবং তার সাথে থাকা মৃত আবদুল আলীর ছেলে ফিরোজ হাওলাদার মাঈনুদ্দিন নামের এক এএসআইয়ের কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলি সহ পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনা বাউফল থানার পুলিশ জানতে পেরে ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের সাথে পাশ্ববর্তী কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা ও নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দুপুর একটার দিকে ফিরোজের বাড়ির একটি নারিকেল গাছ থেকে লুণ্ঠিত গুলি ও পিস্তল উদ্ধার করেন। এদিকে জমির বিরোধে পুলিশের সামনেই চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন। আহতরা হলেন-সেরাজ হাওলাদার (৬০), আবু বকর (২৫), মাকসুদা বেগম (৩৫) সহিদুল (১৮), বিউটি বেগম (৪৫), হালিম হাওলাদার (২০), অলিল (১৫), মনোয়ারা (৭০), নাজমা (৩৫), ইমরান (২০), কামাল (৪৫), আলম (৫২), মকবুল (৬০), দুলাল (৩৫), নিলুফা (৪০) এবং নূরভানু (৫৫)। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৪ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো: মঈনুল হাসান বাউফলে অবস্থান করছেন ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থম থমে পরিস্তিতি বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
Post Views: ০
|
|