|
স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, আমরা নজরদারি করছি-মোস্তাফিজুর রহমান
দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর বরিশালে লঞ্চ চলাচল শুরু, যাত্রী চাপ অপেক্ষাকৃত অনেক কম
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : লকডাউনের কারণে দীর্ঘ প্রায় দুই মাসের বিরতি পর বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধি না হলেও যাত্রী সংখ্যা ছিলো খুবই কম। সোমবার (২৪ মে) ভোর ৫টা থেকে এই লঞ্চ চলাচল শুরু হয় অভ্যন্তরীণ রুটে। রাত সাড়ে ৮টার পর ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল করবে। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে আসছে দিবা সার্ভিস গ্রিনলাইন-২। বিষয়টি জানিয়েছেন, বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের প্রায় দের মাস পর আজ ভোর থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সকল রুটে লঞ্চ চলাচলা শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্য খুবই কম ছিল। তাই বিভিন্ন রুটের লঞ্চ গুলো খরচ বাঁচাতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে চলাচল করছে। বরিশাল, পাতারহাট, ইলিশা, মজুচৌধুরীর হাট ও লক্ষীপুর রুটের এমভি রাতুলের মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠানো হচ্ছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রুটে ভাড়াও বৃদ্ধি করেনি। নেওয়া হচ্ছে অর্ধেক যাত্রী।’ বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় মাস পর যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। তবে মালিক-শ্রমিক এবং বিআইডব্লিউটিএ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে কোন শৈথিল্য হলে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা নজরদারি করছি।’ উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। পরদিন ৬ এপ্রিল থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিকরা কোনো ধরনের বেতন-ভাতা ছাড়াই বেশিরভাগ কর্মচারী বাড়ি পাঠিয়ে দেন। দুই একজন কর্মচারী লঞ্চ পাহাড়া দেওয়ার জন্য রাখলেও তাদের বেতন-ভাতা এমনকি পর্যাপ্ত খোরাকীর টাকাও দিতেন না মালিকরা। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে গত দেড় মাস ধরে।
ছবি : সুব্রত বিশ্বাস
Post Views:
৯৫
|
|