Current Bangladesh Time
বুধবার মে ১৫, ২০২৪ ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ‘দাম যাই হউক কাস্টমাররা বেশি মাইপ্পা দিতে কয়, হ্যাচকা কিনলে নাকি হ্যারাই ঠগে’ 
Saturday March 18, 2023 , 4:57 pm
Print this E-mail this

বাজারে সয়লাব রসালো ফল তরমুজ, ক্রেতা ভালোই, বরিশাল থেকে সারাদেশে প্রচুর তরমুজ যাচ্ছে

‘দাম যাই হউক কাস্টমাররা বেশি মাইপ্পা দিতে কয়, হ্যাচকা কিনলে নাকি হ্যারাই ঠগে’


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বাজারে সয়লাব রসালো ফল তরমুজ। তবে গত বছরের থেকে এ সময়টাতে তরমুজের দর কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন খুচরো ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। যদিও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির কোন সংকট নেই জানিয়েছেন পাইকার ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। তবে দর যাই হোকে এবারে এখন পর্যন্ত বরিশালের বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির দৃশ্য তেমন দেখা মেলেনি। যদিও কেউ কেউ কেজি দরে তরমুজ বেচা-বিক্রির কথা জানিয়েছেন। বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মো: জালাল বলেন, কেজি দরেও তরমুজ বিক্রি করি, আবার কেউ হ্যাচকা পিস হিসেবে দরে কিনতে চাইলে তাও দিই। কোনটাতেই ব্যাচতে সমস্যা নাই আমার। তবে কেজিতে বেচলে কাস্টমাররাই খুশি হয় বেশি, আবার কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা কম নিলেও আমাদেরও সুবিধা হয়। কাস্টমারের সাথে দর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে হয় না। বর্তমানে আকার অনুযায়ী প্রতিকেজি তরমুজ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন অবস্থায় তরমুজের দাম এহন একটু বেশি, কয়েকটা দিন গ্যালে দাম পরবে। তয় দাম যাই হউক কাস্টমাররা বেশি মাইপ্পা (ওজন) দিতে কয়, হ্যাচকা (পিছ প্রতি গড় দাম) কিনলে নাকি হ্যারাই ঠগে। আমরাও দেখছি হ্যাচকায় বেচলে কাস্টমারের লগে ঝামেলা হয়, একটা হ্যাচকায় বেচলাম একটা সাড়ে ৬ শত আবার একটা ৭ শত টাকায়। কিন্তু কাস্টমার কইবে আমারডা দাম বেশি রাখছো কিন্তু হ্যারডার চাইয়া তো ছোডো। তাই কেজিতে বেচাই ভালো। তবে সুমন খান নামে এক ক্রেতা বললেন, খুচরা বিক্রেতারা আস্ত একটা তরমুজের গড় (হ্যাচকা) দাম এমনভাবে বলবে, তখন মনে হবে কেজিতে কেনাই ভালো। কিন্তু কেজিতে তো কেনা ঠিক না। তরমুজের লাল অংশ যেটা মানুষে খায় তার দর যদি ৫০ টাকা হয়, তাহলে তরমুজের সবুজ অংশ যেটা গরুতে খায় তার দরও ৫০ টাকা। শহুরে জীবনে কেউ গরু না পালন করে না। সেই ৫০ টাকা দরে কেনা সেই সবুজ অংশ ফেলেই দিতে হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে তরমুজের দাম একবারে নিয়ন্ত্রণহীন, তবে গোটা শহরের তুলনায় পোর্টরোডে পাইকারি আড়তের পাশের খুচরো দোকানগুলোতে কিছুটা সস্তায় তরমুজ মিলে। মো: রাকিব নামে অপর এক তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে ভালো মান ও আকারের কোন তরমুজের দাম দুইশত টাকার নিচে নাই। আর মৌসুমের শুরুতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হলেও এখন পিস হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে বেশি। দর বেশির কথা জানিয়ে আ. মান্নান নামের অপর খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি কিনে আনলে তো তরমুজের ভেতর দেখার সুযোগ নাই। কিন্তু আমাদের তো কেটে তরমুজের ভেতর দেখিয়ে বিক্রি করতে হয় ক্রেতাদের। সে ক্ষেত্রে ভেতর সাদা হলে সেটির লস আমাকেই গুনতে হয়। সবমিলিয়ে লাভ-লোকসানের মাঝেই তরমুজ বিক্রি ভালো হচ্ছে।তরমুজ যতো আসবে ততো দাম কমবে বলে জানান তিনি। বাজারের অবস্থা ভালো জানিয়ে পোর্টরোডের পাইকার বাজারের আড়তদার ইব্রাহিম জিতু বলেন, দুই সপ্তাহের মতো হলো বাজারে তরমুজ আসছে। বর্তমানে বাজারে ক্রেতা ভালোই রয়েছে। ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে একশ’ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর বরিশাল থেকে সারাদেশে প্রচুর তরমুজ যাচ্ছে।




Archives
Image
বরিশালে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, পিতা-পুত্র গ্রেফতার
Image
গুলিস্তানে কিনে ‘পাকিস্তানি কাপড়’ বলে বিক্রি করেন তনি!
Image
রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন
Image
এমভি আবদুল্লাহ ছাড়লেন ২৩ নাবিক
Image
ভোলার চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত