Current Bangladesh Time
রবিবার জুলাই ৬, ২০২৫ ১:৪৯ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা দালালের কাছে জিম্মি 
Friday September 8, 2017 , 9:09 pm
Print this E-mail this

লঞ্চের টিকিট কালোবাজারীদের হাতে, একই টিকিট দু’বার বিক্রির অভিযোগ

দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা দালালের কাছে জিম্মি


শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদ-উল-আজহার পরে কর্মস্থলে ফিরতে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চযাত্রীরা দালালের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।সড়ক পথে ফেরিঘাটে বিড়ম্বনার কারণে এবার অধিকাংশ যাত্রীরা নৌ-পথকে বেঁছে নেয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শুক্রবার ও তার আগেরদিন বৃহস্পতিবার বেসরকারী লঞ্চের টিকিট মেলেনি কাউন্টারগুলোতে।তবে কালোবাজারে টিকিট পাওয়া গেলেও তার দাম তিন থেকে চার গুণ বেশি।যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চার গুণ বেশি দাম দিয়ে বিলাসবহুল লঞ্চের টিকিট কিনতে হচ্ছে কালোবাজার থেকে।বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল অফিসের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের সকল টিকিট ঈদের আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। শুক্রবার বন্ধের দিনে যাত্রীদের চাঁপ সামাল দিতে সরকারী ও বেসরকারী জাহাজে স্পেশাল সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হলেও টিকিট মিলছে না।তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চের ছাঁদে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবারের টিকিটের জন্য কাউন্টারগুলোতে ধরনা দিলেও বিশেষ সুপারিশ ছাড়া কেউই টিকিট পাননি।কাউন্টারগুলো থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে সকল টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।অথচ লঞ্চ টার্মিনালে চারগুণ বেশি দাম দিয়ে দালালের কাছ থেকে কালোবাজারে টিকিট ক্রয় করেছেন অধিকাংশ যাত্রীরা।নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা মৃধা আফসার উদ্দিন জানান, দিনভর সুন্দরবন ও সুরভী লঞ্চের কাউন্টারে ধরনা দিয়েও তিনি টিকিট পাননি।তবে লঞ্চ টার্মিনালে কালোবাজারে টিকিট পেলেও দাম অতিরিক্ত থাকায় তা তিনি ক্রয় করতে পারেননি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১২শ’ টাকার স্থলে দালালের মাধ্যমে কালোবাজারে শুক্রবারের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ২৮শ’ টাকায়।শুক্রবারের টিকিট তিন হাজার টাকা হাঁকানো হলেও দরদাম করে দুইশ’ টাকা কম দিয়ে ২৮শ’ টাকায় ক্রয় করেছেন তানভির আহম্মেদ অভি নামের এক যাত্রী।এছাড়া ডাবল, ফ্যামিলি, ভিআইপি কেবিনের টিকিট যাত্রীদের কাছে ছিলো সোনার হরিণের মতো।বেসরকারী চাকরিজীবী মোঃ মিরাজ হোসেন জানান, লঞ্চের কাউন্টারগুলো থেকে তদ্বির ছাড়া টিকিট পাওয়া যায় না।তাই রাজনৈতিক ক্ষমতার কিংবা প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা ও লঞ্চ মালিকদের স্বজন ছাড়া টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।কর্মস্থলগামী হাজার হাজার মানুষ লঞ্চের টিকিট না পেয়ে দালালের মাধ্যমে কালোবাজার থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন।সাকিলা ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, টার্মিনাল এলাকা থেকে অনেক তদ্বির করে এক হাজার টাকার সিঙ্গেল কেবিনের টিকিট দুই হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন।লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে ডেকের যাত্রীদের চাঁপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি লঞ্চের টিকিট সোনার হরিণ হয়ে গেছে।সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ম্যানেজার জাকির হোসেন জানান, অতিরিক্ত যাত্রীদের কারণে শুক্র ও বৃহস্পতিবার টিকিট বিক্রিতে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।তিনি জানান, টিকিটের বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি।তাই সকলের মন রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।যারা আগে এসেছে তারাই কেবল টিকিট পেয়েছেন।শুক্রবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে সরকারী দুটি জাহাজের পাশাপাশি বেসরকারী প্রায় ২০টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করলেও অতিরিক্ত যাত্রী চাঁপের কারণে এসব লঞ্চের টিকিট মিলছে না।জনৈক এক যাত্রী অভিযোগ করেন, আজ (০৮/০৯/১৭) বরিশাল থেকে ঢাকা যাবার জন্য তারা সুরভী-৭-এ ২০৭ কেবিন সরাসরি তাদের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনেন, অথচ ঐ একই টিকিট আরেকজন যাত্রীর কাছে তারা বিক্রি করেন !এরকম বেশ কিছু যাত্রীদের কাছ থেকে এই একই অভিযোগ পাওয়া যায়।




Archives
Image
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সহ ১৯ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব
Image
প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি : নাহিদ
Image
বরিশালে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে আইজিপি
Image
সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো সাগরের পাশে বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
মূলধারার গণমাধ্যমও ভুয়া তথ্যের ‍উৎস : প্রধান উপদেষ্টা