হাসনাইন তালুকদার দিবস, অতিথি প্রতিবেদক : কোভিট ১৯ নভেল করোনা ভাইরার সংক্রামন আতঙ্কে রোগী শুন্য হয়ে পরেছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। আর রোগী না থাকা এবং নিজ নিরাপত্তার অভাবে চিকিৎসকরাও আসছেন না হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল রোগী শুন্য হয়ে পরেছে। সরকারি এ হাসপাতালটিতে রোগী ও ডাক্তার শুন্য থাকায় বন্ধ রয়েছে বহিঃ বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরটারী এবং অভ্যর্থনা কেন্দ্র। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোন রোগীর আনাগোনা নেই। সেখানকার চিকিৎসকদের রুম গুলোও তালা বদ্ধ। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩০০ হতে ৪০০ রোগীর ভিড় থাকতো, সেখানে করোনা প্রকোপের কারণে পুরোটাই রোগীশুণ্য। বর্তমানে গোটা হাসপাতালটিতে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। নীচ তলায় জরুরী বিভাগে মাঝে মধ্যে কাটা-ছেড়া কিছু রোগী আসছেন যাদের ব্যান্ডেজ ও সেলাই না করলেই নয়। এই জরুরী বিভগে হাসপাতালের ষ্টাফরা সেলাই ও ব্যান্ডেজ এর কাজ সম্পন্ন করছেন। দ্বিতীয় তলায় ওয়ার্ড গুলো ফাঁকা হয়ে আছে। তবে ২/৩ জন ডিউটি নার্সকে সেখানে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। এখানকার দায়িত্বরত এক নার্স বলেন, রোগী নেই তাই এখন বাসা থেকে আসি আর যাই। এক কথায় রোগীর সেবার সময়টুকু এখন আসবাব পাহাড়া দিচ্ছি। হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো: আবুয়াল হাসানের কক্ষটিও তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।