মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়ে করার লিখিত চুক্তিপত্র ভঙ্গ করায় প্রেমিকের বাড়িতে এসে ফের অনশন শুরু করেছেন সাথী মন্ডল (২০) নামের এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (নভেম্বর ১৭) দুপুরে ওই তরুণী অনশনরত অবস্থায় প্রেমিক সঞ্জয়ের বাড়িতে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার চরগাধাতলী মহল্লায়। জানা যায়, অনশনরত সাথী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কালাইরচর গ্রামের নরেশ চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে। বিয়ের দাবিতে এ নিয়ে তিনবার প্রেমিক সঞ্জয়ের বাড়িতে অনশন করেছেন তিনি। তরুণীর ভাই শ্রী বিপ্লব মন্ডল বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে আমার বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সত্য নারায়ণ দত্তের ছেলে সঞ্জয় দত্তের সাথে। এক পর্যায়ে মন্দিরে গিয়ে শাখা-সিঁদুর পড়ে তারা বিয়েও করেন। গত ১৯ অক্টোবর স্ত্রীর দাবিতে সঞ্জয়ের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন সাথী। পরে সাথীকে রেজিষ্ট্রি বিয়ে করার জন্য সঞ্জয়ের কাছে প্রস্তাব করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের প্রস্তাবে রাজি হয়ে তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে বিবাহের হলফনামা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন সঞ্জয়। সাক্ষী হিসেবে স্থানীয় ১৫ জন ব্যক্তি ওই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী বিয়ের দিন ধার্য ছিলো গত ১০ নভেম্বর। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সাথী ওই বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সঞ্জয়। এরপর পূণরায় সঞ্জয়ের বাড়ীতে এসে অনশন শুরু করেন সাথী। এ সময় এক সপ্তাহের মধ্যে সাথীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেয় সঞ্জয়ের পরিবার। সেই আশ্বাস পেয়ে সাথী পুনরায় বাড়ি ফিরে যায়। এরপর এক সপ্তাহ পার হলেও সঞ্জয় বা তার পরিবার কোন যোগাযোগ না করায় বুধবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে সঞ্জয়ের বাড়ীতে এসে তৃতীয়বার অনশন শুরু করেছেন সাথী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাথী প্রেমিক সঞ্জয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে তার প্রেমিক সঞ্জয় এখন পলাতক আছেন। এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আফজাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।