নিজস্ব প্রতিবেদক : একদিকে যেমন মহামারী করোনা ঠিক অপরদিকে মাহে রমজান মাস। আর এ সময়েও থেমে নেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের প্যাথলজিতে দালালী বাণিজ্য! তাও আবার খোদ টেকনোলজিস্ট নিজেই এ কাজটি করছেন। গতকাল এমনই চিত্রে ফুটে উঠেছে বরিশাল শেবাচিমে। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি এক নবজাতকের পরীক্ষার জন্য শেবাচিম’র প্যাথলজিতে যান রোগীর স্বজনরা। অথচ সেখানে তাদের পরীক্ষা না করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে দেন সেখানে কর্তব্যরত খোদ টেকনোলজিস্ট মজিবর রহমান নিজেই। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর পরই প্রদত্ত টাকার রিসিট চাইলেই বাধে যত বিপত্তি। রোগীর স্বজনদের প্রতিবাদের হুলস্থুল শুরু হয়। এক পর্যায়ে অফিস সহায়ক কামাল হোসেন ঘটনা সমাধানে এগিয়ে আসেন। রোগীকে টেকনোলজিস্ট মজিবর ৫শ টাকা ফেরৎ দেন। কিন্তু রোগীর স্বজনদের দাবি, তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ২ হাজার টাকা। এ বিষয়ে টেকনোলজিস্ট মজিবর রহমান বলেন, আমি দুইবারে তাদের কাছ থেকে মোট সাড়ে পাঁচশো টাকা নিয়েছিলাম। তারা গরিব মানুষ বিধায় ৫শ টাকা ফেরৎ দিয়ে দিয়েছি। এটা নিয়ে পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ না করার বিশেষ অনুরোধ জানান এই মজিবর রহমান। প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ ডা: আশিক দত্ত বলেন, আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাটি সত্যতা যাচাই করে কালই পরিচালক স্যারকে জানাবো।বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় তার টাকা গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।