|
এমভি দেশান্তরের কাছে যাত্রীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি – নূরুল আম্বিয়া বাবু
এমভি দেশান্তরে ভ্রমণ করুন,পাল্টে যাবে লঞ্চ যাত্রায় তিক্ত অভিজ্ঞতা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য নৌ-পথে যাত্রা।ঘুমিয়ে, খোশগল্প করতে করতে, মায়ের হাতের রান্না করা খাবার যাত্রা পথে খেতে কার না ভালো লাগে? আবার যুবকরা ভালোবাসে গোল হয়ে বসে আড্ডা দিতে কিংবা তাস খেলতে।সিনেমা দেখতে দেখতে যাত্রাটাকে আরও রোমান্টিক করে তুলতে বাংলাদেশের অনন্য রুট ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুট।এই পথে যাত্রায় আরও আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে যুক্ত হয়েছে তাহসিন শিপিং লাইন্স।বরিশাল রুটে চালু হওয়া এই কোম্পানীর এম.ভি দেশান্তর ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন বাজিমাৎ।এখানে আপনাকে আলাদা এসি কেবিন পয়সা খরচ করে আর নিতে হবে না।কারণ পুরো লঞ্চটায় এসি সিস্টেম।বাথরুম, সিঁড়ি কিংবা ব্যালকনি সব স্থানেই রয়েছে এসির ব্যবস্থা।বাথরুমে বসে আপনাকে আর ঘামাতে হবে না, সিঁড়িতে দাড়িয়ে হাতপাখা ঘুরাতে হবে না, ব্যালকনিতে দাড়িয়ে প্রাকৃতিক হাওয়ার অপেক্ষা করে বলতে হবে না।এম.ভি দেশান্তরে যাতায়াত করতে আর দশটা লঞ্চের মত বিছানার চাদর, কাঁথা-বালিশ গাট্টি বেঁধে আর নিয়ে আসতে হবে না।ঝটপট সিদ্ধান্ত, চটপট যাত্রা।একটি যাত্রীকেও ডেকে হেঁটে হেঁটে রাত পার করতে হবে না।রয়েছে রকিং চেয়ার সিস্টেম।বসে, চেয়ার হেলিয়ে-পায়ের উপর পা তুলে ঘুমাতে ঘুমাতে পৌঁছে যাবেন আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্যে।আবার অনেকে রয়েছেন যারা রাতে বই পড়া ছাড়া ঘুম আসে না।তাদের জন্য গ্রন্থাগার তো রয়েছেই।আছে কফি শপ-ক্যান্টিন।চা বা কফি খেতে খেতে জমিয়ে জমপেস আড্ডা দেবার অফুরন্ত সময় ও নান্দনিক ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে এই লঞ্চটিতে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভাবছেন এত কিছু ভিন্নতা, ফলে ভাড়াও হয়তো বেশি।তা কিন্তু মোটেও নয়।বরং অন্য লঞ্চগুলোর তুলনায় কম।ডেক ২০০, ৩য় শ্রেণীর চেয়ার ৪০০, ২য় শ্রেণীর চেয়ার ৫০০ ও প্রথম শ্রেণীর চেয়ার ৬০০ টাকা।এছাড়া সিঙ্গেল, ডাবল, ফ্যামিলি ক্যাবিনতো রয়েছেই।আর যেখানেই থাকুন আপনার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যালকনির ব্যবস্থা।এম.ভি দেশান্তরের কর্মকর্তা নূরুল আম্বিয়া বাবু বলেন, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যতা দেবার নিমিত্তেই আমাদের সার্বক্ষণিক চেষ্টা অব্যহত থাকুক। অর্থাৎ এমভি দেশান্তরে যাত্রা করলে লঞ্চ যাত্রায় আপনার যেসব খারাপ বা তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে তা সবই নিমিষে পাল্টে যাবে।আর আপনাকে না নিয়েও নোঙর তুলবে না লঞ্চটি।কারণ দেশান্তরের কাছে যাত্রীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।তাইতো প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার সদর ঘাট ত্যাগ করে বরিশালের পথে।আর প্রতিদিন রাত ১০টায় বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দ্যেশে।
 
Post Views: ০
|
|