Current Bangladesh Time
শনিবার মে ১৮, ২০২৪ ১১:৫১ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » এদের বিচার ও শাস্তি আর হবে কবে? 
Friday December 27, 2019 , 12:22 pm
Print this E-mail this

এদের বিচার ও শাস্তি আর হবে কবে?


স্বাধীনতার পরে আমরা যখন একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে সারা বিশে্বর মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছি তখন আমরা ভাবতে শুরু করেছিলাম যে, আমরাও একদিন বিশে্বর উন্নত দেশগুলোর মানুষদের মতো সবদিক দিয়ে উজ্জ্বল মানুষ হয়ে উঠব। স্বাধীনতার পরে আমরা পেয়েছিলাম সবদিক থেকে একটি বিপর্যস্ত দেশ। না ছিল ভালো রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট বা অন্যকিছু। কারণ সব যুদ্ধের মধ্যে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। যেটুকু বাকি ছিল, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, তাও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্রোধের আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছিল। তখন অনেকে প্রশ্ন করেছেন, এই বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশ কি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে? এই একটি মাত্র প্রশ্নকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভস্মস্তুপ থেকে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। ‘বটমলেস বাস্কেট’কে তিনি ধনধান্যে পুষ্পে ভরে তুলেছিলেন। সে ছিল এক বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা। তারপরে এই আটচল্লিশ বছরে, স্বাধীনতার পরে আমরা অনেক কিছু দেখেছি সামরিক শাসন, স্বৈরাচারী শাসন থেকে আরও অনেক কিছু দেখেছি আমরা। ভালোমন্দ মিশিয়ে। আমরা দেখেছি, যতদিন যাচ্ছে দেশের একশ্রেণির মানুষ ভয়ানক রকম স্বার্থপর আর স্বার্থান্বেষী হয়ে উঠেছে। নিজেদের ব্যক্তিগত ভাগ্য পরিবর্তনে মরিয়া হয়ে এমন সব কাজ করছে। যা স্বাধীনতার পরে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের দেশে সত্তর দশকের আট কোটি মানুষ এখন এই ক’বছরে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। ফলে আমাদের হিসাব অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও প্রাকৃতিক নিয়মেই আমাদের সব মেনে নিয়ে ‘যা আছে তা নিয়েই’ ভালো থাকার চেষ্টা করতে হয়েছে। এসবই আমাদের জানা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এখন আমার মনে হয় সবাই কমবেশি জানে। যদিও একেক সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও কাটাছেড়া করার চেষ্টা হয়েছে। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও কম অবমূল্যায়ন হয়নি। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিশ্বের সব দেশেই সব সমাজেই কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাকে ভালো মানুষের পাশাপাশি যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষের যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার করতে হয় নানাভাবে। তবে এসব অসৎ ও স্বার্থান্বেষী মানুষদের যদি রাষ্ট্রপক্ষ কোনো না কোনোভাবে ছাড় দেয় বা কোনো কোনো সময় প্রয়োজনবোধে তাদের অসৎ কাজের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা না করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের কারণে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, পরে যা সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। পুরনো কথা থাক, বরং আমরা বর্তমানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যদি কথা বলি, তাহলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কিছু শিথিল ব্যবস্থাপনা লক্ষ করি যাতে শেষাবধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হয়েছে কখনও কখনও। প্রকৃতপক্ষে কিছু অসৎ ও স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীকে সরকার এখনও তেমনভাবে দমন করতে পারেনি। পারলে বিভিন্ন ভোগ্য তথা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম এভাবে বাড়িতে পারত না কিছু ব্যবসায়ী। এ ক্ষেত্রে সরকারি তরফ থেকেও যে ‘যথাসময়ের কাজ’ ঠিকভাবে না করার গাফিলতি আছে, সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। মঙ্গলবারের কলামে আমাদের দেশের অসৎ ব্যবসায়ী ও স্বার্থান্বেষী মানুষদের লজ্জা-শরম কমে যাবার কথা বলেছিলাম। সেটা এবারে আবার মনে পড়ে গেল পত্রিকান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখে। প্রতিবেদনটির জন্য প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানাই কারণ এ ধরনের প্রতিবেদন অন্যান্য পত্রিকাতেও তেমন প্রকাশিত হয় না। দেশের অনেক মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমিও মনে মনে খুবই কষ্ট অনুভব করি যখন দেখি আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা এবং অর্জন মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বিষয়ক কোনো ঘটনা নিয়ে আমাদের মুখ কালিমালিপ্ত হয় বাইরের পৃথিবীর মানুষদের কাছে। এই কষ্ট বেদনা আর লজ্জার কোনো সান্তনা নেই। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পরও সরকারের ছয় সচিবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নিয়েছেন, তাদের সনদ মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছিল। কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা কোনো পদক্ষেপ এতদিনেও নেয়নি। আসলে ব্যবস্থা নিতে গেলে কেউ তো আর বাকি থাকবে না, তাই হয়তো এ বিষয়ে আর এগোয়নি। এদিকে ছয় বছর হতে চললেও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধু ও সংগঠনকে দেওয়া সোনার ক্রেস্টের জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কারও শাস্তি হয়নি। এ ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত প্রথম তদন্ত কমিটি সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ কর্মকর্তাও দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছিল। পরে বিষয়টি আর এগোয়নি। এ রকম ঘটনা আর অভিযোগের অন্ত নেই। সম্ভবত মন্ত্রীর কথাই বোধ হয় ঠিক যে, ‘আসলে ব্যবস্থা নিতে গেলে কেউ তো আর বাকি থাকবে না।’ এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে কার কাছে কার বিচার চাইব? দেখা যাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়েও কত যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তার ঠিক নেই। কতবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়ে কিছুদূর গিয়ে আবার অদৃশ্য কোনো কারণে তা বন্ধ হলো, সে রকম ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার। এদের বিচার এবং শাস্তি এতদিনেও যখন হয়নি আর হবে কবে? স্বয়ং মন্ত্রীর নির্দেশে ভাতার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের এক উপজেলার ইউএনওর অফিসে নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অফিসের সুপারিশসহ তা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাতেই লেগে গেল পুরো দুই বছর, এমন নজরও আছে। অথচ নিয়মমাফিক তিন মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবার কথা ছিল। সবচেয়ে অবাক কথা, এখনও বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চল থেকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হবার আবেদন আসছে স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সুপারিশসহ পরে এদের অনেকের বিরুদ্ধেই আসছে আবার স্থানীয়ভাবেই মুক্তিযোদ্ধা না হবার অভিযোগ। এ রকম নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে যা নিয়ে জামুকা ও মন্ত্রণালয় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। কোনো কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে, সব কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। আরেকটা বিষয় আছে, সরকারি চাকরিতে যোগদানের সময়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা না দিলে পরবর্তী সময়ে তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো সুবিধাই দেওয়া হবে না। আইনটা এমনই ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই আইনটিকেও উপেক্ষা করে তাদের নতুনভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে জটিলতা বেড়েছে অনেক। এটাও করা হয়েছে চাপের মুখে। এই সরকারের আমলে নানা অভিযোগে এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু যতদূর জানি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ থাকলেও কারোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আগেই বলেছি, নানা ধরনের অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও আছেন যারা চাকরি জীবন শেষ করে যথানিয়মে পেনশন নিয়েও চলে গেছেন। এবং এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। অন্যদের কথা বাদ দিলেও এসব মানুষদের এই চেহারা আর মনোবৃত্তি দেখার জন্য দেশের মানুষ প্রস্তুত নয়। এদের শাস্তি না হবার কারণেই হয়তো অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত বা পার পেয়ে যাচ্ছে। দেশের বাইরে গেলে এসব বিষয় নিয়ে যখন কেউ প্রশ্ন তোলেন তখন বলার কিছু থাকে না। শুধু লজ্জিতই হতে হয় সবার সামনে। আমাদের লজ্জা পাবার আরও তো কত ঘটনা বা বিষয় আছে যেমন আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে অন্যান্য দেশের তুলনায় একেবারে সামনে আছি।
মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা ক্রেস্টের সোনাও মেরে খেয়েছি, সড়ক দুর্ঘটনায় সব দেশকেই প্রায় পেছনে ফেলেছি। এর কোন বিষয়টা আমাদের জন্য লজ্জার নয়! কিন্তু আমরা কি লজ্জিত হচ্ছি? মনে তো হয় না। এদিকে ঢাকা মহানগরীর দেড় কোটির অধিক মানুষের জন্য বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বেড়েছে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে তা দিল্লিকেও ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদেরতো ছাড়িয়েছে আগেই। অসংখ্য ইটভাঁটা, যানবাহন, অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, ছোটবড় কল-কারখানা ইত্যাদির ধোঁয়া ও গ্রাস ঢাকার ওপরের বায়ুস্তরকে দূষিত করে ফেলেছে, শীতকালে তা আরও বাড়বে।মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা গত ১০ বছরে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ছয়টি মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সমন্বয়ে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সচিবালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে বলা যাচ্ছে না এবারেও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ুর শহরের তালিকা থেকে আমাদের রাজধানী শহর ঢাকা বেরিয়ে আসতে পারবে কি না। এসব ঘটনার কোনোটাই আমাদের গৌরবের নয়। বরং লজ্জা আর হীনম্মন্যতার। আমরা বলি, মুক্তিযুদ্ধের সাহসী সৈনিক মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহঙ্কার। কারণ তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা। অথচ এই মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও কখনও কখনও পড়তে হয় বিরূপ লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক একজন মুক্তিযোদ্ধা রোগীর সনদ ছিড়ে ফেললে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বেডে মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান ভুঁইয়া চিকিৎসাধীন ছিলেন। একসময় তাকে দেখতে গিয়ে ফাইলে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি দেখে চিকিৎসক অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: শহীদুল্লা কায়সার হঠাৎ রেগে যান এবং বলতে থাকেন, এখানে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কেন? মুক্তিযুদ্ধ করে মাথায় উঠেছেন? সার্টিফিকেট কি আপনার চিকিৎসা করবে? যতসব…। এই ধৃষ্টতার কি কোনো সীমা আছে? আইনত তার কী শাস্তি হওয়া উচিত? তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম আমরা। ঘটনার দুদিন পরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভুঁইয়াকে। পরে তিনি কথা বলেছেন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে। বলেছেন, এখনও কেন সাসপেন্ড করা হয়নি। জেলে ভরে তারপর তদন্ত করা হোক। এ ঘটনাটি যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের অনেক লজ্জাজনক ঘটনার সঙ্গে আরও একটি ঘটনা যুক্ত হবে।

লেখক : অরূপ তালুকদার, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক

সূত্র : বরিশাল ট্রিবিউন 






Archives
Image
বরিশাল শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে : সচিব
Image
বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
Image
বরিশালসহ ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
Image
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের মামলা
Image
বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৌয়াল কুদ্দুস