নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য সম্পদ আমাদের অন্যতম প্রাণিজ আমিষের উৎস। দেশে মৎস্য সম্পদের কাঙ্ক্ষিত ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রেনু পোনা উৎপাদনের জন্য রয়েছে সরকার অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি হ্যাচারি। এসকল হ্যাচারি থেকে বৈধ উপায়ে যে কোন মৎস্য চাষী রেনু পোনা ক্রয় করতে পারবে। কিন্তু কিছু অসাধু চক্র বিভিন্ন জলাশয় কিংবা অনুমোদন বিহীন হ্য্যাচারি থেকে রেনু পোনা ক্রয় করে বিভিন্ন এলাকায় পাচারের মতো আইন বহির্ভূত কাজের সাথে জড়িয়ে আছে। স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক আজ শনিবর (৯ মে) সকাল ৬ টার সময় বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ডিঙ্গার হাট নামক স্থানে রেনুপোনা বহনকারী পিকাপ আটক করা হয়। আটককালে পিকআপ ড্রাইভার অবস্থা বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনসাধারণ এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন, বাকেরগঞ্জ’র উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায় কে জানালে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট, বাকেরগঞ্জ মো: তরিকুল ইসলাম’র নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাকিব হাসানকে ঘটনা স্থলে পাঠান। কর্মকর্তাদ্বয় কর্তৃক উল্লিখিত স্থানে গিয়ে পিক আপ সহ ৪ টি ড্রাম জব্দ করা হয়। পরবর্তিতে ড্রামের রেনু পোনা ও লার্ভি গুলো স্থানীয় তুলাতুলি নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এ প্রসংগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: তরিকুল ইসলাম বলেন মৎস্য হ্যাচারি আইন ২০১০ মোতাবেক রেনু পোনা নিবন্ধন ব্যাতিত কোন হ্যাচারি এর উৎপাদন, পরিবহন ও বিপনন করতে পারবে না। এছাড়া মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষ্ণণ আইন ১৯৫০ মোতাবেক রেনু পোনা বা অতি ক্ষুদ্রাকৃতির মাছ মারা বা বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং এ ধরণের অপরাধ থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন।