Current Bangladesh Time
বুধবার জুলাই ২, ২০২৫ ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » ভোলা » ৭ দিন ধরে ভোলায় ফেরী বিকল, যানবাহনের দীর্ঘ লাইন 
Thursday July 20, 2017 , 2:19 am
Print this E-mail this

৭ দিন ধরে ভোলায় ফেরী বিকল, যানবাহনের দীর্ঘ লাইন


মুক্তখবর ডেস্ক : দেশের বৃহৎ ফেরী রুট ভোলা-লক্ষীপুর রুটের একটি ফেরী বিকল হয়ে পড়ায় উভয় পাড়ে দেড় কিলোমিটার লাইন জটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত: ৩ শতাধিক পরিবহন। ৮ দিনেও বিকল ফেরী কৃষানী চালু না হওয়ায় দিন দিন এ জট বাড়ছে। এতে নির্ধারিত সময়ে পরিবহনগুলো পৌছতে না পারায় ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে কাচামাল। কবে নাগাত ফেরী চলাচল শুরু হবে তা জানেনা শ্রমিকরা। জানা গেছে, ভোলার সাথে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুট। গুরুপ্তপূর্ন থেকে এ রুটে কনকচাপা, কুসুমকলি এবং কৃষানী নামের তিনটি ফেরী চলাচল করে আসছে। কিন্তু গত ১০ জুলাই কৃষানি নামের একটি ফেরী যান্ত্রিক ত্র“টির কারনে বিকল হয়ে যায়। এতে তিনটির স্থলে দুটি ফেরী চলাচল করায় উভয় পাড়ে দীর্ঘ লাইন জটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটের দিনের পর অপেক্ষা করেই পারাপার হতে পারছেনা পরিবহনগুলো। শ্রমিকরা জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটে দুটি ফেরী দিয়ে জট কমানো সম্ভব হচ্ছে। পারাপারের জন্য একেকটি ট্রাককে গড়ে ৭/১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঘাটে অপক্ষেমান ট্রাকগুলোতে কাঁচামালসহ বিভিন্ন পন্য থাকায় তা পচন ধরতে শুরু করেছে। দুর্ভোগে পরেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ভোমরা স্থল বন্ধ থেকে আসা ট্রাক চালক রানা ও সিলেট থেকে আসা শামিম বলেন, গত ৫ দিন ধরে চাল এবং কাঁচামাল নিয়ে ঘাটে বসে রয়েছি কিন্তু ফেরীর দেখা পাচ্ছি না। ট্রাক চালক মোস্তফা জানান, সারাদিনে ফেরী মাত্র দুই বার চলছে, এতে দুই রাউন্ডে অল্প কিছু গাড়ি পারাপার হচ্ছে। ফেরীর ট্রিপ বাড়ানো হলে জট কমে যেতে। আরেক চালক মহিউদ্দিন বলেন, সময় বাড়ার সাথে সাথে ফেরী ঘাটে দীর্ঘ লাইন জটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা অংকুর বলেন, ভোলা অংশে দুই কিলোমিটার জুড়ে পরিবহনের দীর্ঘ লাইন। এতে দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে। ভোলার ইলিশাফেরী ঘাট গুরে দেখা গেছে, ভোলা-ইলিশা সড়কে কাচামাল, চাল, গরু, মহিষ, গ্যাস, কাঠসহ বিভিন্ন পন্যবাহি ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। সড়কের পাশেই অলস সময় পার করছেন চালক ও শ্রকিরা। প্রচন্ড গরমে পুড়ে নাকাল অবস্থা তাদের। একেকটি ট্রাক ঘন্টার পর ঘন্টা আর দিনের পর দিন ফেরী অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কেউ পার হতে পারছেনা। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ভোলা ও লক্ষীপুর উভয় অংশে অন্তত: ২৫০/৩০০ ট্রাক পারাপারে অপেক্ষায় ছিলো। ট্রাক চালকরা জানান, গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। নষ্ট হয়ে যাবে কাচালমাল।এদিকে একটি ফেরী বিকল দক্ষিনাঞ্চলের জেলারগুলোতের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাতœক বিঘেœ সৃষ্টি হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনীয় ট্রাকগুলো নির্ধারিত সময়ে যেতে পারছেনা। শুধু ফেরী বিকল নয়, জোয়ারের পানির সমস্যার কারনেও দিনে ১/২ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে যানবাহনের লাইন আরো দীর্ঘ হচ্ছে। যোগাযোগ করা হলে ফেরী ঘাটের টার্মিনাল এসিস্টেন্ট মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘাটের জট কমানো চেষ্টা চলছে, খুব শিগ্রই বিকল ফেরী চচল হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।




Archives
Image
গুমের শিকার বাবার সন্তানের কান্নায় কাঁদলেন তারেক রহমান
Image
বরিশালে চালের দাম বাড়ায় মানববন্ধন
Image
স্বৈরাচার প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন তাকে ধরে ফেলা যায় : প্রধান উপদেষ্টা
Image
বরিশাল বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
Image
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা