|
বানারীপাড়া উপজেলার স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের মধ্যে ৯ জনকে মরণোত্তর পদক দেয়া হয়
৩০ লক্ষ শহীদের রক্তঋন আমরাই শোধ করব – বানারীপাড়ায় আলহাজ্ব গোলাম ফারুক
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন, উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিনটিকে পালন করেন। রাত ১২-১ মিঃ এর সময় ৩১ বার তোপধ্বনি করেন বানারীপাড়া থানা। সকালে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তাবক অর্পণ করেন। সেখানে তারা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৭১’ এর রণাঙ্গনে যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ নামের যে বুখন্ডের নাম এনে দিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসন বানারীপাড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজন করেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদার, বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের হ্যাট্রিক বিজয়ী ও বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম, বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, বানারীপাড়া পৌর সভার হ্যাট্রিক বিজয়ী মেয়র, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, বেজ কমান্ডার বাবু বেণী লাল, পৌর মেয়র এ্যাডঃ সুভাষ চন্দ্র শীল, সাধারন সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন আহম্মেদ কিসলু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, সলিয়াবাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, যুগ্ন-সম্পাদক মোস্তফা সরদার, যুগ্ন-সম্পাদক আক্তার মোল্লা ও যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক-লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের এক সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলতে গিয়ে আলহাজ্ব গোলাম ফারুক বলেন, আজ আমি যে উপজেলা চেয়ারম্যান এ অবদান ও আমাদের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের। শুধু আমি না যে যেখানে, যে অবস্থায় আছেন এর সমস্ত অবদান আমার সামনে যারা বসে আছেন তারা। আমি শ্রদ্ধা ভরে ৭১’ এর বীর শহীদের স্মরণ করছি ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগামে আমরা যে লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি তার মান আমরা অক্ষুন্ন রাখব এবং জাতির জনকের স্বপনের সোনার বাঙলা গড়ার মধ্যদিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তঋন শোধ করব। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি দেবাশিষের সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, বেজ কমান্ডার বাবু বেণী লাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মীর। বানারীপাড়া উপজেলার স্বাধীনতা সংগামে শহীদের মধ্যে ৯ জনকে মরণোত্তর পদক দেয়া হয়।
মোঃ আনিছুর রহমান মিলন, বানারীপাড়া প্রতিনিধি
Post Views:
১,৫৫৪
|
|