সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ
হাসানাত আবদুল্লাহ’র সাথে জাহিদ ফারুক শামীম’র সৌজন্য সাক্ষাত
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান (মন্ত্রী মর্যাদা) এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বরিশাল জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি এ বছর জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর ৫ আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থী। সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। প্রায় ১০ বছর পূর্বে ২০০৮ সালেও বরিশাল সদর আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জাহিদ ফারুক শামীম অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। আওয়ামীলীগ সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাহিদ ফারুক। ওই নির্বাচনে মজিবর রহমান সরোয়ার ১ লাখ ৫ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর জাহিদ ফারুক পান ৯৯ হাজার ৩৯৩ ভোট। বরিশাল সদর আসনে এটাই কোনো আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ ভোট। এবার এই আসনে আরও মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান সাংসদ জেবুন্ননেসা আফরোজ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ ১২ জন। তবে শেষ পর্যন্ত শামীমই দলীয় মনোনয়ন পান। জাহিদ ফারুক বলেন, রোববার দলীয় মনোনয়নের চিঠি হাতে পেয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই এলাকায় এসে নির্বাচনী কাজে হাত দেবেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পক্ষে রায় দেবে। বরিশালবাসীও এই অগ্রযাত্রার সঙ্গে থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিভাগীয় সদরের এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৩০ জন। এই আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস জয়ী হন। ১৯৯৬ সালে সাংসদ হন আবদুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে এহতেশামুল হক নাছিম বিশ্বাস। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার প্রথম বারের মত বিজয়ী হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার এ আসন থেকে পুনরায় জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগের কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন। পরে তাঁর মৃত্যু হলে স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ উপনির্বাচনে এই আসনের সাংসদ হন।