Current Bangladesh Time
বুধবার ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল নগরীতে যানজট 
Thursday September 21, 2017 , 6:08 pm
Print this E-mail this

হাইকোর্ট ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক অবৈধ ঘোষনার পরেও নগরীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হলুদ অটোরিক্সা

বরিশাল নগরীতে যানজট


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মোটরযান আইন অনুযায়ী ব্যাটারী চালিত হলুদ অটো কোন স্বীকৃত যানবাহন না হওয়ায় হাইকোর্ট এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করেছে অনেক আগেই।মোটরযান রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মোটরযানকে যথাযথ সনাক্তকরণ পূর্বক বিআরটিএ কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়।কিন্তু সিটি কর্পোরেশন মোটরযান রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বৈধ কর্তৃপক্ষ না হওয়া সত্বেও ব্যক্তি বিশেষের নামে গাড়ী সনাক্তকরণের কোন ব্যবস্থা না রেখেই ব্লু-বুক ইস্যু ও নবায়ন করে মহানগরীতে অটোরিক্সা চালানোর অনুমতি দিয়ে আসছে।হলুদ অটো সনাক্তকরণ করার জন্য গাড়ীর বডি (চেসিস) বা ইঞ্জিনের কোন নাম্বার থাকে না শুধুমাত্র একটি টোকেন প্লেট গাড়িতে আটকানো থাকে।যার ফলে গাড়ী এবং গাড়ীর প্রকৃত মালিক সনাক্তকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।সূত্রে জানা গেছে, গাড়ীর নামে রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার কথা থাকলেও তা ব্যক্তির নামে ব্ল-বুক এর মাধ্যমে টোকেন প্লেট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত ব্লু-বুকে কিছু শর্ত উল্লেখ রয়েছে।তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য শর্ত হল, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা গাড়ীর লাইসেন্স বিক্রয় বা হস্তান্তর যোগ্য নহে।তবে মূল মালিক গাড়ী বিক্রয় করিলে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নাম পত্তন ফি জমাদান পূর্বক নাম পরিবর্তন করিয়া নিতে পারবেন।কিন্তু তাদের প্রদত্ত শর্ত ভঙ্গ করে এক একটি ব্লু-বুক পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে ও প্রতিমাসে মাসিক তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ব্লু-বুক হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।আরও জানা যায়, প্রতি বছর চার হাজার ছয়শত টাকা নবায়ন ফি নিয়ে হলুদ অটোগুলো অবৈধভাবে চালানোর অনুমতি দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন।ব্লু-বুকের মালিক এবং গাড়ীর মালিক একই ব্যক্তি হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো।কেউ কেউ প্রতিমাসে এক একটি ব্লু-বুকের জন্য তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে অটো রিক্সার অবৈধ ব্যবসা করে আসছে।একই ব্যক্তির নামে একাধিক ব্লু-বুক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও প্রমান মিলেছে।বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের নজরে আসলে শর্ত ভঙ্গকারী ব্লু-বুকধারী অটোরিক্সাগুলোকে আটক করার জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হয়।প্রতি মাসেই জব্দকৃত অবৈধ ব্লু-বুকগুলো বাতিল পূর্বক পরবর্তী কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি প্রদান করে বিএমপি ট্রাফিক বিভাগ।কিন্তু তারা এ ব্যাপারে অদ্যবদি কোন কর্ণপাত করেনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগিদপত্র প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু কোন ফলপ্রসু সমাধান হয়নি বলে আমাদের বরিশালকে জানিয়েছেন টিআই সামসুল আলম।তিনি আরও জানান, নগরীতে অবৈধ অটো ব্যবসা পরিচালনায় ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা সুবিধা ভোগ করে আসছে।ট্রাফিক বিভাগ এ ধরনের অবৈধ অটো ব্যবসা বন্ধের ব্যবস্থা নিলে পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচার করা হয়।এব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক/ডিবি উত্তম কুমার পাল বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা সম্পূর্ন রুপে অবৈধ।তাই এ যানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে।

সূত্র : দৈনিক আমাদের বরিশাল




Archives
Image
কলকাতা-আগরতলার মিশনপ্রধানদের ঢাকায় আনার বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে
Image
বরিশালে লঞ্চের কেবিন থেকে যাত্রীর ৮টি পাসপোর্ট-ডলার উধাও
Image
নিখোঁজ যুবকের নম্বর থেকে টাকা চেয়ে মায়ের কাছে ফোন, পুলিশ বলছে সিম ক্লোন
Image
ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করলো বাংলাদেশ
Image
বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের ৪৯ গণমাধ্যম : রিউমর স্ক্যানার