|
জব্দকৃত জাল নষ্ট না করেই ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করে কোস্ট গার্ড
স্বরূপকাঠীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে দ্বিমুখী ব্যবসা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : স্বরূপকাঠীর মিয়ারহাট বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা সরকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিকি-কিনি এখন ওপেন সিক্রেট। বাজারে দোকান ঘর ভাড়া করেই প্রকাশ্যে চলছে এই নিষিদ্ধ পণ্যের রমরমা ব্যাবসা। এ নিষিদ্ধ ব্যবসা এখন এতটাই প্রসারতা পেয়েছে যে বরগুনা, আমতলী, পাাথরঘাটা, শরণখোলা, নাজিরপুর, কাউখালী, পিরোজপুর, বাগেরহাট, চিতলমারি, বানারীপাড়া, উজিরপুর থেকেও ক্রেতাগণের সমাগম হয় দক্ষিণের রাজধানী খ্যাত স্বরূপকাঠীর এই বাজারে। দূর দূরান্তের ক্রেতাগণের নিরাপদে এই চোরাই ব্যাবসার কেন্দ্রবিন্দু স্বরূপকাঠীর মিয়ারহাট বাজার হলেও স্বরূপকাঠীর প্রশাসন যেন সদ্য ভূমিস্ট শিশুর ন্যায় কিছুই জানেন না। সরেজমিনে গতকাল ১৫জানুয়ারী উপজেলার মিয়ারহাট বাজারে দেখা যায় সুটিয়াকাঠী গ্রামের প্রসিদ্ধ কারেন্ট্ জাল ব্যবসায়ি সফিক ক্রেতাদের সাথে বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এসময় সংবাদকর্মীদের সাথে তাদের ব্যবসার ম্যনেজিং সিস্টেম সম্পর্কে জানতে চাইলেই মোবাইলে কথা বলতে বলতে ঘর ভর্তী কারেন্ট জাল রেখে পালিয়ে যায় সে। এ ব্যবসায় কোস্ট গার্ড ও র্যাবের অভিযান ব্যাতিত স্বরূপকাঠী উপজেলা প্রশাসন সর্বদাই নিরবতা পালন করে আসছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেজিস্ট্রেট আবু সাঈদকে জানানো হলে তিনি মৎস অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন এবং বলেন তার জানা মতে কারেন্ট জাল সরকার নিষিদ্ধ। এব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোল্লা পারবেজ বলেন, মাস খানেক আগে বরিশালের কোস্ট গার্ডের একটি টিম আমাকে জানিয়ে অত্র বাজার থেকে অনেক কারেন্ট জাল জব্দ করে নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নষ্ট না করেই নিয়ে গেছে। আমরা কারেন্ট জালের বিষয়ে জিরো ট্রলারেন্স নিতী গ্রহন করেছি। এব্যাপারে এক চোরাকারবারী (কারেন্ট জাল ব্যবসায়ি) রাসেল বলেন, আপনারা রিপোর্ট করেন প্রশাসনের পকেট ভারী হয়। তার থেকে মাসে কত নিবেন বলেন। কারেন্টজাল মহল থেকে জানা যায় কোস্ট গার্ডের ওই অভিযানে জব্দকৃত জাল নষ্ট না করেই ঝালকাঠীর ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করে কোস্ট গার্ড। যেস্থান থেকে স্বরূপকাঠীর ব্যবসায়িরা পূনরায় নিজেদের জাল কিনে আনে। কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দকৃত কারেন্ট জাল নষ্ট না করে আত্মসাতের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেজিস্ট্রেট আবু সাঈদ বলেন, সে উপজেলায় অবৈধ পণ্য পাওয়া যাবে সে উপজেলার নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের সামনেই সেটা নষ্ট করতে হবে। কোস্ট গার্ডের ওই জাল নিয়ে যাওয়ার কোন বিধান নাই। আমি বিষয়টি দেখব।
Post Views:
০
|
|